বিশাল রানের ম্যাচ নয়। প্রথমে ব্যাট করে চেন্নাই তুলেছিল ১৬০ রান। যা তাড়া করতে নেমে রীতিমত ল্যাজেগোবরে হল পঞ্জাব। মাত্র ১৩৫ রানেই তাদের ২০ ওভার ফুরিয়ে যায়। উইকেট হাতে থাকলেও তাই জয় অধরাই থেকে যায়। চেন্নাই জিতে টেবিলের মাথায় ফের পৌঁছে গেল। চেন্নাই শনিবার জেতে ২২ রানে। হারের ফলে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের অবনমন শুরু হল। ম্যাচের সেরা হন হরভজন সিং।
শনিবার ও রবিবার মানেই আইপিএলে ২টি করে ম্যাচ। ৮টি দলের সকলেরই শনিবার বা রবিবার ম্যাচ থাকবেই। শনিবার বিকেলে প্রথম ম্যাচ ছিল চেন্নাই ও পঞ্জাবের মধ্যে। চেন্নাই খেলে নিজেদের ঘরের মাঠে। চিপকে এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেনে মহেন্দ্র সিং ধোনি। ব্যাট করতে নেমে চেন্নাইয়ের ওয়াটসন ও ডু প্লেসি দারুণ শুরু করেন। ওয়াটসন ২৬ রান করে ফেরার পর ডু প্লেসির সঙ্গে রায়না ব্যাট করা শুরু করেন। ডু প্লেসি ৫৪ রান করে যখন ফেরেন তখন দলের রান ১০০। রায়নার সঙ্গে ধোনি ব্যাট করতে নামলেও তাঁদের আর খেলা হয়ে ওঠেনি। রায়নাও ফেরেন দলের ১০০ রানেই। তিনি নিজে করেন ১৭ রান। এরপর ধোনি ও রাইডু নিজেদের ব্যাটে ভরসা করে দলের রানকে ১৬০ অবধি টেনে নিয়ে যান। ধোনি ৩৭ ও রাইডু ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন। চেন্নাই ২০ ওভারে করে ১৬০।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে পঞ্জাব শুরুতেই ক্রিস গেইলের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। চাপ বাড়ে ০ রান করে তারপরই মায়াঙ্ক আগরওয়াল ফেরায়। তবে এরপর খেলাকে টেনে নিয়ে যান কেএল রাহুল ও সরফরাজ খান। রাহুল যখন ব্যক্তিগত ৫৫ রানে আউট হন তখন দলের রান ১১৭। ফলে জয় অধরা ছিলনা। কিন্তু মিলার এরপর নেমে বেশিক্ষণ টেকেননি। মাত্র ৬ রান করে প্যাভিলিয়নমুখো হন তিনি। অবশ্য ততক্ষণে কার্যত খেলা হাতছাড়া হয়ে গেছে। মারতে গিয়ে আউট হন ৬৭ রান করা সরফরাজ খানও। মনদীপ করেন ১ রান। ২২ রানে হারে পঞ্জাব।