রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। বিরাট কোহলির দল। দলে ডেভিলিয়ার্সের মত ব্যাটসম্যান রয়েছেন। পার্থিব প্যাটেল ভাল খেলছে। রয়েছেন মইন আলি, স্টোইনিসের মত খেলোয়াড়। বোলিং আক্রমণও ভাল। তারপরেও চলতি আইপিএলে এখন পর্যন্ত ৬টি ম্যাচ খেলে ৬টিতেই হেরেছে তারা। এটা বেশ অবাক করা তথ্য। রবিবার বিকেলে তারা নেমেছিল দিল্লির বিরুদ্ধে। আর সেই ম্যাচেও ৪ উইকেটে হারল বেঙ্গালুরু।
টস জিতে রবিবার বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে প্রথমে বিরাটদের ব্যাট করতে পাঠান দিল্লির অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। ঘরের মাঠে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে এদিনও নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে বিরাটবাহিনী। পার্থিব ফেরেন ৯ রানে, ডেভিলিয়ার্স ১৭ রানে, স্টোইনিস ১৫ রানে ফেরার পরও বিরাট ও মইন আলি লড়াই চালিয়ে যান। ১৮ বলে ৩২ রানের একটা ঝোড়ো ইনিংস খেলার পর মইন ফেরেন। ৪১ রান করে ফেরেন বিরাটও। ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান করে শেষ করে বেঙ্গালুরু। ৪ ওভার বল করে ২১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে বেঙ্গালুরুকে বড় ধাক্কা দিয়ে যান রাবাডা।
অল্প রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একটাও রান না করে ফেরেন শিখর ধাওয়ান। তারপর পৃথ্বী শ ও অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার হাল ধরেন। পৃথ্বী ২৮ রান করে ফেরার পর আইয়ারের সঙ্গে জোট বাঁধেন ইনগ্রাম। রান উঠতে থাকে। তেমন চাপ কখনওই তৈরি হচ্ছিল না। ইনগ্রাম ২২ রান করে ফিরলেও একা দেওয়ালের মত দাঁড়িয়ে ছিলেন শ্রেয়স। দায়িত্ব নিয়ে দলকে জয়ের লক্ষ্যে টেনে নিয়ে যান তিনি। ইনগ্রামের পর শ্রেয়সের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ঋষভ পন্থ। শ্রেয়স যখন ৬৭ রান করে ফেরেন তখন জিততে দরকার মাত্র ৫ রান। এই অবস্থায় ব্যাট করতে নেমে শূন্য রানে ফেরেন মরিস। শেষ কামড় দেওয়ার চেষ্টা করে বেঙ্গালুরু। ৩ রান জয়ের জন্য দরকার এই অবস্থায় ফেরেন ঋষভ পন্থ (১৮)। অক্ষর প্যাটেল ও তেওয়াটিয়া শেষে ম্যাচ জিতিয়ে ফেরেন। ম্যাচের সেরা হন রাবাডা।