Sports

রাহুল-মায়াঙ্ক দাপটে কিংস ইলেভেনের কাছে পরাজিত হায়দরাবাদ

প্রথমে ব্যাট করে কম রানেই শেষ করে হায়দরাবাদ। সানরাইজার্সের জন্য একজন খেলোয়াড় শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে যান। তিনি ডেভিড ওয়ার্নার। শুরু থেকে শেষ, পুরো ২০ ওভারই ক্রিজে থাকেন তিনি। কেবল দরকার ছিল তাঁকে ঠিকঠাক সঙ্গত দেওয়া। কিন্তু সেটাই হল না। ফলে ১৫০ রানে গুটিয়ে যায় সানরাইজার্স। ব্যাট করতে নেমে কেএল রাহুল একা দাঁড়িয়ে থেকে ম্যাচ বার করেন। তাঁকে দুরন্ত সঙ্গত দেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। ওয়ার্নারের মতই রাহুলও ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ক্রিজে ছিলেন। হায়দরাবাদ হারে ৬ উইকেটে।

মোহালিতে ঘরের মাঠে সোমবার টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় পঞ্জাব। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ভাল ব্যাট করছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। কিন্তু তুলনায় উল্টোদিকে দাঁড়ানো ব্যাটসম্যানেরা তেমন রান করতে পারেননি। রান উঠতে থাকে ধীরে। বেয়ারস্টো ১ রান করে ফেরার পর বিজয় শঙ্কর কিছুটা খেলেন। করেন ২৬ রান। এরপর ওয়ার্নারের সঙ্গে ব্যাট করতে থাকেন মহম্মদ নবি। তিনি করেন ১২ রান। পরে মণীশ পাণ্ডে ১৯ রান করেন। হুডা ১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। ওয়ার্নার করেন ৭০ রান। ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান করে হায়দরাবাদ।


জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে চালানোর চেষ্টা করেন ক্রিস গেইল। ১৬ রান করে ফেরেন তিনি। এরপর রাহুল ও মায়াঙ্ক মিলে খেলা টেনে নিয়ে যেতে থাকেন। খুব তাড়াহুড়ো না করেও খেলা ক্রমশ তাঁদের দিকে করে নিতে থাকেন এই ২ ব্যাটসম্যান। মায়াঙ্ক আগরওয়াল ৫৫ রান করে যখন ফেরেন তখন পঞ্জাবের জেতার জন্য দরকার মাত্র ১৯ রান। এই অবস্থায় ব্যাট করতে নেমে মিলার ১ রানে ও মনদীপ সিং ২ রানে আউট হন।

হারের মুখেও একটা শেষ কামড় দেওয়ার চেষ্টা করে হায়দরাবাদ। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। এরপর রাহুল কুরানকে সঙ্গে নিয়ে বাকি রানটা তুলে নেন। ১ বল বাকি থাকতেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় করে ফেলে পঞ্জাব। ৭১ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচের সেরা হন কেএল রাহুল। এদিন জিতে টেবিলের ৩ নম্বরে উঠে এল পঞ্জাব। হায়দরাবাদ পৌঁছে গেল ৪ নম্বরে।


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button