আন্দ্রে রাসেল নামক খেলোয়াড়টিকে বাদ দিলে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলটি এবারের আইপিএলে বেঙ্গালুরুর চেয়ে কম যায়না। বাকি ১০ জন খেলোয়াড় যে কতটা দুর্বল তা পদে পদে প্রমাণিত প্রথম ৬টি ম্যাচে। যারমধ্যে ২টি তো ডাহা হারা ম্যাচ বাঁচিয়ে দিয়েছেন একা রাসেল। বাকি ম্যাচেও ভাল রান কররে দিয়ে গেছেন। আর সোমবার চেন্নাইয়ের সঙ্গে যদি সামান্যও লড়াই কলকাতা লড়ে থাকে তবে তা ওই রাসেলের হাত যশেই। কারণ বাকি টিমের এদিনের পারফর্মেন্স হল ক্রিস লিন, নীতীশ রাণা, কুলদীপ যাদব ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ শূন্য রানে ফেরেন। নারিন ৬, পীযূষ চাওলা ৮, শুভমান গিল ৯ রানে আউট হন। উত্থাপ্পা ১১ রান করেন। অধিনায়ক কার্তিক ১৯ রান। রাসেল শেষ পর্যন্ত থেকে করেন ৫০ রান।
এখন প্রশ্ন হল রাসেল যদি এই পিচে খেলে থাকতে পারেন তবে কেকেআর দলটার আর একজন খেলোয়াড়ও কেন দাঁড়াতে পারলেন না? এটা কী যথেষ্ট প্রতিভার অভাব নয়? দলকে জেতানোয় রাসেলের ভূমিকা যতটা বেশি, ততটাই সাদামাটা দীনেশ কার্তিকের অধিনায়কত্ব। নিজে দাঁড়িয়ে দলকে টেনেছেন এমন উদাহরণও ৬ ম্যাচে নেই। বরং উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে ক্যাচ ফেলেছেন এমন উদাহরণ একাধিক তৈরি করে ফেলেছেন তিনি। ফলে এদিন চেন্নাইয়ের মত হিসেব কষা দল পড়তেই কেকেআরের দুর্বলতা, দুর্দশা সামনে এসে পড়ল। ২০ ওভারের শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে কেকেআর করল ১০৮ রান। যারমধ্যে রাসেল একাই ৫০ আর অতিরিক্ত ৪।
মাত্র ১০৯ রান তাড়া করতে নেমে ঘরের মাঠে শুরুতে চালিয়ে খেলার রাস্তায় হাঁটে সিএসকে। চার, ছয় হচ্ছিলও। কিন্তু পরপর ওয়াটসন ও রায়নার উইকেট হারানোর পর দ্রুত কৌশল বদলায় চেন্নাই। ডু প্লেসি ও রাইডু ধরন বদলে খেলার বল খেলে রান তুলতে থাকেন। জোর দেন ১, ২ রানের ওপর। ফলে রানের চাকা ঘুরতে থাকে। সামান্য রান তাড়া করতে গেলে এর চেয়ে বেশি লড়াই দেওয়ার দরকারও পড়েনা। বরং হাঁকপাঁক করতে গেলে খেলা ঘুরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে সঠিক পথ হল পেশাগত মানসিকতা ধরে রেখে টুকটুক করে জেতার লক্ষ্যে এগিয়ে চলা। কোনও উইকেট না হারিয়ে।
টস জিতে কেকেআরকে ব্যাটিং করতে পাঠান ধোনি। জানতেন রাত বাড়লে চিপকে শিশির বড় ভয়ংকর চেহারা নেয়। ফলে বলের গ্রিপ পেতে অসুবিধা হবে। ফলে টস জয়কে পুরোদস্তুর কাজে লাগান তিনি। সেই শিশিরকণা এদিন কিন্তু কলকাতাকে ভুগিয়েছে। বার বার বল তোয়ালে দিয়ে মুছতে দেখা গেছে খেলোয়াড়দের। এরপর রাইডু ২১ রান করে আউট হন। পরে কেদার যাদব ও ডু প্লেসি ১৭ ওভার ২ বলেই ম্যাচ জিতে নেন। সহজ জয়ের এই ম্যাচে কোনও সময়ই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি কেকেআর। ম্যাচের সেরা হন দীপক চাহর।