রাজস্থান রয়্যালস যেভাবে বল করা শুরু করেছিল তাতে হার মাথার ওপর নাচছিল ধোনিদের। ২৪ রানে ৪ উইকেট হারানো চেন্নাই প্রবল চাপে পড়ে যায়। রান উঠছিল ঢিমেতালে। বল রানের ফারাক বাড়ছিল। কিন্তু ধোনি যে কতটা হিসেব করে খেলেন তার ফের একবার প্রমাণ দিলেন মাঠে। নিজে রান করলেন। পরামর্শ দিয়ে রাইডুকে খেলালেন। ধীর গতিতে রান তুলতে তুলতে ঠিক সময়ে গিয়ার বদলালেন। ধোনি-রাইডুর তৈরি করা ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে জয় এনে দিলেন স্যান্টনার।
ম্যাচের সেরা হন মহেন্দ্র সিং ধোনি। এদিন খেলার ২ বল বাকি থাকতে মেজাজ হারান ধোনি। যা সাধারণত দেখা যায়না। একটি বল কোমরের ওপর হওয়া সত্ত্বেও আম্পায়াররা নো ডাকায় মাঠে ঢুকে গিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন ধোনি। আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে।
জয়পুরের মাঠে বৃহস্পতিবার টস জিতে রাজস্থানকে ব্যাট করতে পাঠান ধোনি। রাজস্থান অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে এদিনও ব্যর্থ। ১৪ রান করে ফেরেন তিনি। তারপর থেকে নিয়মিত উইকেট পড়তে থাকে রাজস্থানের। রানের গতি কমে যায়। খুব ধীরে রান উঠতে থাকে। বাটলার ২৩, সঞ্জু স্যামসন ৬, স্মিথ ১৫, রাহুল ত্রিপাঠী ১০, স্টোকস ২৮, পরাগ ১৬ রানে ফেরেন। শেষ ওভারে ১৮ রান আসায় তবু একটা সম্মানজনক স্কোর খাড়া করে রাজস্থান। ২০ ওভারে করে ১৫১ রান।
অল্প রান। আর তা করতে হবে টেবিলের সবচেয়ে ওপরে থাকা দলটাকে। যে দলের ভারসাম্যই অসাধারণ। কিন্তু সেই চেন্নাইও এদিন রাজস্থানের দারুণ বোলিংয়ের সামনে মুখ থুবড়ে পরে। ওয়াটসন ০, ডু প্লেসি ৭, রায়না ৪ ও কেদার যাদব ১ রান করে ফেরার পর রীতিমত চাপে পড়ে ধোনির হলুদ ব্রিগেড। কেদার যাদবের দুরন্ত ক্যাচ নেন বেন স্টোকস। এখান থেকে ধোনি একদিকে দাঁড়িয়ে থেকে রান তুলতে থাকেন। রাইডুকে রান করাতে থাকেন। রাইডু ৫৭ রান করে ফেরার পরও খেলাকে টেনে নিয়ে যান।
ধোনি যখন ৫৮ রান করে আউট হন তখন খেলা চেন্নাইয়ের হাতের মধ্যে এসে গেছে। জেতার জন্য দরকার তখন মাত্র ৮ রান। এখানে স্টোকস শেষ ওভারে ২টি ছয় খান। ধোনিরা ২০ ওভার খেলেই জেতেন ৪ উইকেটে। শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দুরন্ত জয় আসে।