সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ২ নম্বর স্থানে উঠে এল দিল্লি ক্যাপিটালস। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও রিকি পন্টিংয়ের পরামর্শে দুরন্ত গতিতে উপরে উঠছে দলটি। ৮টি ম্যাচ খেলে ১০ পয়েন্ট ঝুলিতে পুরেছে দিল্লি। রবিবার সন্ধেয় ৩৯ রানে জেতে তারা। অথচ প্রথমে ব্যাট করে মাত্র ১৫৫ রানই করতে পেরেছিল দিল্লি। কিন্তু তাদের বিষাক্ত বোলিং ও দুরন্ত ফিল্ডিং হারিয়ে দিল হায়দরাবাদকে। তাও আবার তাদেরই মাঠে। দিল্লির সবচেয়ে ভয়ংকর বোলার হয়ে দাঁড়ান কিমো পল। ৪ ওভার বল করে ১৭ রান দিয়ে ৩টি উইকেট তুলে নেন তিনি। কার্যত তাঁর বোলিংয়ের জোরেই ম্যাচ হাতে এসে পড়ে দিল্লির। কিমো পলই ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হন।
টস জিতে রবিবার সন্ধেয় তাদের নিজেরে মাঠে দিল্লিকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় হায়দরাবাদ। পৃথ্বী শ ৪ রান করে ও শিখর ধাওয়ান ৭ রান করে ফেরার পর চাপে পড়ে যায় দিল্লি। মুনরো ও দিল্লির অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার মিলে দলের হাল ধরেন। মুনরো করেন ৪০ রান। আইয়ার ৪৫ রান। ঋষভ পন্থও দলের খাতায় ২৩ রান যোগ করেন। ১৪ রান করেন অক্ষর প্যাটেল। ২০ ওভার খেলে দিল্লি ৭ উইকেট হারিয়ে করে ১৫৫ রান।
নিজেদের মাঠ। রানও যে বিশাল কিছু তা নয়। এই অবস্থায় ভাল ব্যাটিং লাইনআপের দল হায়দরাবাদ যা শুরু করে তাতে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলে তারা। বেয়ারস্টো ও ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল জয় কেবল সময়ের অপেক্ষা। দলের ৭২ রানের মাথায় ৪১ রান করে ফেরেন বেয়ারস্টো। ওয়ার্নার ধরে রাখেন একদিক। কিন্তু তারপর যে ধস হায়দরাবাদের ইনিংসে দেখা গেল তা না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। একটা জেতা ম্যাচকে কীভাবে হারা যায় তার একটা বড় উদাহরণ এদিন ছেড়ে গেল হায়দরাবাদ।
শুরু হয় হায়দরাবাদের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে দিয়ে। উইলিয়ামসন ৩, আরকে ভুই ৭, বিজয় শঙ্কর ১, দীপক হুডা ৩, অভিষেক শর্মা ২, রশিদ খান ০, কে আহমেদ ০ এবং ভুবনেশ্বর কুমার ২ রান করে আউট হন। ডেভিড মাঝে ফেরেন ৫১ রান করে। ওয়ার্নার আর বেয়ারস্টো মিলে করেন ৯২ রান। আর হায়দরাবাদ দলটা ১১৬ রানে গুটিয়ে যায়। অর্থাৎ বাকি ৮ জন মিলে করেন ২৪ রান। আদপে কিন্তু ২৪ রানও সকলে মিলে করেননি। কারণ ৫ রান অতিরিক্ত দিয়েছে দিল্লি। ফলে দাঁড়াল হায়দরাবাদের ৮ জন ব্যাটসম্যান মিলে করেন ১৯ রান।