টানা ৬টা ম্যাচ হারার পর সপ্তম ম্যাচে জয়ে ফিরেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। বিরাটবাহিনীর সেই জয়ের পর অনেকেরই মনে হয়েছিল এবার হয়তো টানা জিতে টেবিলের ওপরে ওঠা শুরু করবে বেঙ্গালুরু। কিন্তু হল কই! অষ্টম ম্যাচে ফের হারল বিরাটের ছেলেরা। মুম্বইয়ের কাছে ৫ উইকেটে হারল তারা। ফলে লিগ টেবিলের একদম শেষ জায়গাটা ধরেই রেখে দিল বিরাটবাহিনী।
টস জিতে সোমবার সন্ধেয় ওয়াংখেড়েতে প্রথমে বেঙ্গালুরুকে ব্যাট করতে পাঠান মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। অধিনায়ক বিরাট কোহলি শুরুতেই ফিরলেও পার্থিব প্যাটেল ও ডেভিলিয়ার্স রান টানতে থাকেন। পার্থিব ২৮ রানে আউট হওয়ার পর মইন আলির সঙ্গে জুটি বাঁধেন ডেভিলিয়ার্স। আর সেই জুটি বেঙ্গালুরুর রানের মিটার চড়াতে থাকে।
দলকে ১৪৪ রান পর্যন্ত টেনে নিয়ে যান এই ২ জন। মইন আলি করেন ৫০ রান। যারমধ্যে ৫টি ছক্কা ও ১টি ৪ রয়েছে। মইন আউট হওয়ার পর স্টোইনিস নামলেও ০ রানে ফেরেন তিনি। ২০ ওভার শেষ হতে যখন ৪ বল বাকি তখন ফেরেন ডেভিলিয়ার্স। কিন্তু দলের খাতায় ৭৫ রান দিয়ে যান তিনি। ওই ওভারেই আরও ২টি উইকেট পড়ে। এডি নাথ ২ রান করে ও নেগি ০ রান করে আউট হন। বেঙ্গালুরু ২০ ওভার শেষ করে ১৭১ রান করে।
১৭২ রান করলে জিতবে এই অবস্থায় ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করে মুম্বই। রোহিত ২৮ করে ফেরেন। ডি কক ফেরেন ৪০ রান করে। এই ২ জনেই কিন্তু জয়ের ভিত গড়ে দেন। আর তারপরই দেখা যায় ওয়াংখেড়ের পিচে ঘূর্ণির মত ঘুরছে স্পিনারদের বল। সেই স্পিন সামলে দলকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন ঈশান কিষাণ ও সূর্যকুমার যাদব।
ঈশান ২১ ও সূর্যকুমার ২৯ রানে ফেরার পর ১১ রান করে ফেরেন ক্রুণাল পাণ্ডিয়া। টানটান হয়ে যায় ম্যাচ। আর সেই উত্তেজনা থেকে দলকে মুক্তি দেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। তাঁর বিধ্বংসী ১৬ বলে ৩৭ রানের ইনিংসে ভরসা করে ম্যাচ এক ওভার বাকি থাকতেই জিতে নেয় মুম্বই। ৪ ওভার বল করে ৩১ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে ম্যাচের সেরা হন লাসিথ মালিঙ্গা।