একটা ধোনি না থাকলে একটা গোটা দল কীভাবে তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়তে পারে, কীভাবে তাদের দুর্ধর্ষ পরাক্রম ধুলুণ্ঠিত হতে পারে তা দেখা গল বুধবার। এদিন ধোনি ছিলেন বিশ্রামে। হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে নেমেছিল ধোনিহীন চেন্নাই। ধোনির অবর্তমানে চেন্নাইয়ের অধিনায়কত্ব সামলান রায়না।
যে চেন্নাইয়ের জয়ের ধারা কেউ থামাতে পারছিলনা। সেই চেন্নাই এদিন হেলায় হেরে গেল হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে। গোটা ম্যাচে এমন একটা সময়ও সৃষ্টি হয়নি যখন মনে হতে পারে খেলাটা চেন্নাই জিতলেও জিততে পারে। ৬ উইকেটে জিতে যায় হায়দরাবাদ। ম্যাচের সেরা হন ডেভিড ওয়ার্নার।
বুধবার সন্ধেয় হায়দরাবাদের ঘরের মাঠে তাদের বিরুদ্ধে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন রায়না। ব্যাট করতে নেমে চেন্নাই ভাল শুরু করে। যদিও ক্রমে রান রেট পড়তে থাকে। ওয়াটসন ৩১ রান করে যখন ফেরেন তখন চেন্নাইয়ের স্কোর ৭৯। ওভার ১ বল কম ১০। এখান থেকে শুরু হয় উইকেট পতন।
দলের ৮১ রানের মাথায় ফেরেন ডু প্লেসি (৪৫)। দলের ৯৭ রানের মাথায় ফেরেন রায়না (১৩)। দলের ৯৯ রানের মাথায় ফেরেন কেদার যাদব (১)। দলের ১০১ রানের মাথায় ফেরেন বিলিংস (০)। একটা হারাকিরি পেয়ে বসে চেন্নাই টিমটাকে। যার ফলে রান রেট তলানিতে গিয়ে ঠেকে। গুটিয়ে যায় গোটা দল। আর উইকেট হারানোর ভয়ে রাইডু বা জাদেজা বড় স্ট্রোক নেওয়ার ঝুঁকি নেননি। ২০ ওভারে ১৩২ রান করে থেমে যায় হলুদ ব্রিগেডের লড়াই।
১৩৩ রানের দুর্বল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ধরে খেলতেও পারত হায়দরাবাদ। কিন্তু তারা বোধহয় রান রেটটা তুলে রাখতে চাইছিলেন। ফলে কৌশল হয় চালিয়ে খেলার। এদিন একা ডেভিড ওয়ার্নারই যেভাবে নির্মম মার শুরু করেন তাতে চেন্নাই যে খুব দ্রুতই হারবে তা পরিস্কার হয়ে যায় ক্রিকেট বোদ্ধাদের কাছে। ওয়ার্নার করেন ৫০ রান। যারমধ্যে ১০টি চার মারেন তিনি। ব্যাট করতে নেমে যদিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। উইলিয়ামসন আউট হন ৩ রান করে।
ভারতের বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়া বিজয় শঙ্করও মাত্র ৭ রান করে আউট হন। কিন্তু অন্যদিকটা ধরে রেখেছিলেন বেয়ারস্টো। তিনি রান তুলতে থাকেন। দীপক হুডা যখন ১৩ রান করে ফেরেন তখন জয়ের জন্য মাত্র ২ রান দরকার। ইরফান পাঠান নামেন বটে। তবে তিনি খাতা খোলার সুযোগ পাননি। বেয়ারস্টো খেলা শেষ করেন। তিনি করেন অপরাজিত ৬১ রান। ১৯ বল বাকি থাকতেই খেলা জিতে যায় হায়দরাবাদ। তারা উঠে এল ৫ নম্বরে। টেবিলে আরও অবনমন হয়ে কলকাতা পৌঁছে গেছে ৬ নম্বরে।