শনিবার প্রথম খেলায় প্রথমে ব্যাট করে মুম্বই করেছিল ১৬১ রান। আর দ্বিতীয় খেলায় প্রথমে ব্যাট করে পঞ্জাব করে ১৬৩ রান। খুব কাছাকাছি শেষ করে ২টো দল। আর ১৬৩ যে খুব বড় স্কোর নয় তা এদিন দিল্লি হাড়েহাড়ে টের পাওয়াল পঞ্জাবকে। এমনিতেই ফর্মে ফিরেছেন শিখর ধাওয়ান। দিল্লির জন্য যা অত্যন্ত সুখবর। ফলে শিখরের ব্যাট এখন কথা বলছে। শুরুটা ভাল পাচ্ছে দিল্লি ক্যাপিটালস। তারপর তো শ্রেয়স আইয়ার, ঋষভ পন্থ, পৃথ্বী শ, ইনগ্রামরা আছেনই। এই ব্যাটিং লাইনআপ ও সৌরভ-পন্টিংয়ের পরামর্শ যে দিল্লিকে ৬ বছর বাদে ফের লিগের প্রথম চারে থাকার স্বপ্ন দেখাচ্ছে তা বলাই বাহুল্য। এদিন পঞ্জাবকে হারিয়ে নিজেদের প্রথম ৪-এ থাকা অনেকটাই পাকা করল দিল্লি।
টস জিতে নিজেদের মাঠে এদিন পঞ্জাবকে ব্যাট করতে পাঠায় দিল্লি। দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলার পিচে কেএল রাহুল এদিন ব্যর্থ হলেও ক্রিস গেইল খেলে দেন। রাহুল ১২ রানে ফেরেন। গেইলের সঙ্গে ব্যাট করতে নামেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। কিন্তু মায়াঙ্ক মাত্র ২ রান করে আউট হন। মিলার নামেন। তিনিও ৭ রান করে আউট হন। প্রবল চাপে পড়ে পঞ্জাব। ভরসা ছিল একটাই। মাঠে তখনও ছিলেন ক্রিস গেইল। যাঁর ব্যাট যেদিন কথা বলে সেদিন সচরাচর দিনটা তাঁরই হয়। এদিনও তেমনই একটা আবহ তৈরি হয়েছিল। মনদীপ সিংকে নিয়ে গেইল অনেকটা রান তোলেন। গেইল ফেরেন ৬৯ রান করে। মনদীপ করেন ৩০ রান। শ্যাম কুরান শূন্য রানে ফিরলেও অশ্বিন করেন ১৬ রান। শেষের দিকে হরপ্রীত ব্রার ২০ রানের একটা দুরন্ত ইনিংস খেলেন। ২০ ওভারের শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে পঞ্জাব তোলে ১৬৩ রান।
তাড়া করতে নেমে খুব হঠকারী খেলা, অপ্রয়োজনীয় তাড়াহুড়ো কখনওই করেনি দিল্লি। বিশাল স্কোর নয়। ফলে হুটোপাটি করতে গিয়ে আউট হওয়ার কোনও মানে নেই। তাই সহজ স্কোর তাড়া করার জন্য পেয়ে খেলাটা জিতে রাখতে চাইছিল দিল্লি। পৃথ্বী শ ১৩ রান করে ফিরলেও খেলার হাল ধরে নেনে শিখর ধাওয়ান ও শ্রেয়স আইয়ার। ধরে খেলে মারার বল মেরে রানের চাকা ঘোরাতে থাকেন দুজনে। দুদিক থেকেই রান উঠতে থাকায় দিল্লির রান হিসেব কষে লক্ষ্যের দিকে ছুটতে থাকে।
৫৬ রান করে ধাওয়ান যখন ফেরেন তখন খেলা কিন্তু হাতে এসে গেছে। যদিও ব্যাট করতে নেমে ঋষভ পন্থ মাত্র ৬ রান করে আউট হন। নামেন ইনগ্রাম। তিনি ১৯ রানের একটা ইনিংস খেলে আউট হন। ইনগ্রাম যখন আউট হন তখন জয়ের জন্য দরকার মাত্র ৯ রান। ব্যাট করতে নেমে জয়ের জন্য ৮ রান বাকি এই অবস্থায় আউট হন অক্ষর প্যাটেল। শেষে ২ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে নেয় দিল্লি। শ্রেয়স আইয়ার ৪ মেরে ম্যাচ জেতান। শ্রেয়স অপরাজিত থেকে করেন ৫৮ রান। এদিনের জয়ে দিল্লির শাপমোচন হল। কারণ দিল্লির পিচে আগের ৩টি ম্যাচ হেরেছিল দিল্লি। এদিন ফের ঘরের মাঠে জয়ে ফিরল তারা।