ভারতীয় দল থেকে তিনি বাদ পড়েছেন। বিশ্বকাপে তাঁর জায়গায় নির্বাচকরা বেছে নিয়েছেন দীনেশ কার্তিককে। কিন্তু তিনি যে কতটা যোগ্য তার ফের প্রমাণ দিলেন ঋষভ পন্থ। রাজস্থানের বিরুদ্ধে ঝোড়ো ইনিংস খেলে দিল্লিকে তুলে নিয়ে গেলেন লিগ টেবিলের ১ নম্বরে। চেন্নাই ২ নম্বরে।
রাজস্থান কিন্তু সোমবার দুরন্ত খেলে। নিজেদের মাঠে অজিঙ্কা রাহানে আর অধিনায়ক স্টিভ স্মিথের যুগলবন্দিতে রাজস্থান বড় রানের লক্ষ্য দেয় দিল্লিকে। সেই ম্যাচে কোণঠাসা হয়ে পড়ার পরও শিখর ধাওয়ানের দুরন্ত শুরু। আর ঋষভ পন্থের ফোটো ফিনিশ, দিল্লিকে জয় এনে দেয়। তাও আবার ৪ বল বাকি থাকতেই। ৬ উইকেটে ম্যাচ জেতে দিল্লি ক্যাপিটালস। খুব স্বাভাবিকভাবেই ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ ঋষভ পন্থ। শতরানের ইনিংস খেলেও ম্যাচের সেরা হওয়া হলনা অজিঙ্কা রাহানের।
টস জিতে জয়পুরের মাঠে রাজস্থানকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় দিল্লি। ব্যাট করতে নেমে শুরুতে সঞ্জু স্যামসনের উইকেট হারায় রাজস্থান। শূন্য রানে ফেরেন সঞ্জু। নামেন স্টিভ স্মিথ। শুরু হয় রাজস্থানে ব্যাটিং দাপট। রাহানে আর স্মিথ মিলে রানের মিটার দ্রুত ঘোরাতে থাকেন। স্মিথ ৩২ বলে ৫০ রান করে ফেরেন। দলের রান তখন ১৩৫।
স্মিথ ফেরার পর রাজস্থানের ব্যাটিংয়ে কিছুটা হলেও ধস নামে। মিডল অর্ডার ব্যর্থ। স্টোকস ৮ রানে, টার্নার ০ রানে, স্টুয়ার্ট বিনি ১৯ রানে এবং পরাগ ৪ রানে আউট হন। কিন্তু তখনও যদি রাজস্থানের রানের চাকা কেউ ঘোরাতে থাকেন তবে তিনি একা অজিঙ্কা রাহানে। এদিন শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ১০৫ রান করেন তিনি। রাজস্থান ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রানের স্কোর খাড়া করে। যা নেহাত কম নয়।
রান তাড়া করতে নেমে দিল্লির শুরুটা দুর্দান্ত বললেও কম বলা হয়। কার্যত ম্যাচের ভিত গড়ে দেয় শিখর ধাওয়ানের মারমুখী মেজাজ। পৃথ্বী শ-কে সঙ্গে করে ২৭ বলে ৫৪ রানের একটা ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ধাওয়ান। জঘন্য ফিল্ডিংয়ের নমুনা দিতে থাকে রাজস্থান। এদিন শিখর যে ভিত গড়ে দিয়ে যান সেই ভিতের ওপরই জয়ের ইমারত খাড়া করেন ঋষভ পন্থ।
ধাওয়ান আউট হওয়ার পর দ্রুত ৪ রান করে ফেরেন শ্রেয়স আইয়ার। পৃথ্বীর সঙ্গে জুটি বাঁধতে নামেন ঋষভ। এখান থেকে ম্যাচ ঘুরতে শুরু করে। পৃথ্বী ঝোড়ো ব্যাট করতে না পারলেও একটা দিক ধরে থাকেন। আর ঋষভ মাঠে একের পর এক নতুন ধারার শট খেলে সকলকে চমকে দিতে থাকেন।
পৃথ্বী ৪২ রান করে ফেরেন। তখন ম্যাচ প্রায় দিল্লির ঝুলিতে। তারপরেও অবশ্য রাদারফোর্ড নেমে খেলাটা আরও সহজ করে দেন। ৫ বলে ১১ রান করে বল ও রানের ফারাক অনেকটাই কমিয়ে দিয়ে যান তিনি। ইনগ্রাম নামেন। তবে ফিনিশিং টাচটা আসে ঋষভের ব্যাট থেকেই। ৩৬ বলে ৭৮ রান করে অপরাজিত থাকেন ঋষভ। দেখিয়ে দেন তাঁর ব্যাটিং ক্ষমতা। অবশ্য বিশ্বকাপ দলে তাঁর জায়গা হয়নি। সেখানে তাঁর জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন অধিনায়কত্ব থেকে উইকেট কিপিং থেকে ব্যাটিং, সব বিভাগে অক্ষমতার পরিচয় দেওয়া দীনেশ কার্তিক।