বুধবার পঞ্জাবকে হারিয়ে বেঙ্গালুরুর একটা প্রাপ্তি হয়েছে। সেই শুরু থেকে লিগ তালিকার একদম শেষে পড়ে থাকা বেঙ্গালুরু এক ধাপ উঠেছে। তারা এখন ৭ নম্বরে। লিগের তলায় গিয়ে পৌঁছেছে রাজস্থান। বুধবার টানটান উত্তেজনার ম্যাচে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবকে ১৭ রানে হারিয়ে দেয় বেঙ্গালুরু।
শুরুর দিকে ছন্দে না থাকলেও জ্বলে উঠেছে ডেভিলিয়ার্স ও বিরাটের ব্যাট। বেঙ্গালুরুর ২ প্রধান ভরসা। এঁদের একজন ব্যর্থ হলে অন্যজন খেলে দিচ্ছেন বড় ইনিংস। পঞ্জাব এদিন শুরু থেকে চালিয়ে খেলে বড় রানের ইনিংস তাড়া করে নিজেদের ভাল জায়গায় নিয়ে চলে যায়। কিন্তু শেষের দিকে রান তোলার গতি হারায় তারা। যার খেসারতও দিতে হয়। ম্যাচ জেতে বেঙ্গালুরু।
বুধবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে কোহলির উইকেট দ্রুত হারায় বেঙ্গালুরু। ১৩ রানে কোহলি ফেরার পর পার্থিব প্যাটেল ও ডেভিলিয়ার্স জুটি বাঁধেন। পার্থিব ২৪ বলে ৪৩ রানের একটা ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। মাত্র ৪ রান করে ফেরেন মইন আলি। তবে একটা দিক ধরে রেখেছিলেন ডেভিলিয়ার্স। একাই টানছিলেন ইনিংস। ৩ রান করে ফেরেন নাথও।
৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বেঙ্গালুরু। আর এখান থেকেই ম্যাচের হাল শক্ত হাতে ধরে নেন ডেভিলিয়ার্স ও স্টোইনিস। খেলার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন তাঁরা। ডেভিলিয়ার্স করেন ৮২ রান। স্টোইনিস ৪৬ রান। এঁদের কাঁধে ভর করে ২০২ রান করে বিরাটবাহিনী।
বিশাল রান তাড়া করতে নেমে যেমন শুরুটা হওয়া উচিত, একদম তেমনই একটা শুরু পায় পঞ্জাব। গেইল আর কেএল রাহুল দুরন্ত গতিতে রান তুলতে থাকেন। গেইল ২৩ রান করে ফিরলেও রাহুল ও মায়াঙ্ক আগরওয়াল রানের গতি ধরে রাখেন। এসময়ে টানা ১০-এর ওপর রান রেট ধরে রেখেছিল ছিল তারা। মায়াঙ্ক ফেরেন ৩৫ রান করে। তখনও খেলা কার্যত হাতের মধ্যেই ছিল। এখানেই ভুল করে বসেন রাহুল। ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেলেন।
রাহুল ৪২ রান করে ফিরলেও খেলার গতি ধরে রেখে দলকে জয়ের লক্ষ্যে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন পুরান ও মিলার। ঝোড়ো ইনিংস খেলেন পুরান। ২৮ বলে ৪৬ রান করেন তিনি। বরং ধরে খেলে মিলার ফেরেন ২৪ রান করে। এরপর শেষে দরকার ছিল একটা ঝোড়ো ইনিংসের। কিন্তু অশ্বিন, মনদীপ, ভিলজোয়েন, মুরুগান কেউই সেই খেলা খেলতে পারেননি। যার ফলে বেঙ্গালুরুর চেয়ে ১৭ রান দূরেই শেষ হয় পঞ্জাবের ইনিংস। ম্যাচের সেরা হন ডেভিলিয়ার্স।