মহেন্দ্র সিং ধোনি থাকলেই চেন্নাই সুপার কিংস এক অপ্রতিরোধ্য দলের চেহারা নেয়। বাঘের মত ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রতিপক্ষ দলের বিরুদ্ধে। ম্যাচও জেতে। কিন্তু সেই ধোনি না থাকলে যে চেন্নাই দলটার কঙ্কালসার চেহারাটা ধরা পড়ে যায় তা ফের প্রমাণ হল চেন্নাইতে তাদের ঘরের মাঠে। মুম্বইয়ের কাছে গোহারান হারল লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা চেন্নাই। সামান্য লড়াইটুকুও দিতে পারল না তারা। একটা খেলোয়াড় ১১ জনের দলেও কতটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারেন তা ধোনিকে দেখলে বোঝা যায়। মুম্বইয়ের কাছে চেন্নাই হারে ৪৬ রানে।
টস জিতে ধোনির অবর্তমানে চেন্নাইয়ের অধিনায়ক সুরেশ রায়না প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন। ব্যাট করতে নেমে দ্রুত ডু প্লেসির উইকেট হারায় মুম্বই। ১৫ রানে ফেরেন তিনি। কিন্তু লিউইসকে সঙ্গে করে রোহিত শর্মার ব্যাট চলতে থাকে। ব্যাট চললেও তা বড় রান তুলতে অসমর্থ হয়। চেন্নাইয়ের বোলিংয়ের সামনে রান ওঠে বটে তবে তা খুব দ্রুত নয়।
৩২ রান করে ফেরেন লিউইস। ক্রুণাল পাণ্ডিয়া নেমেই ১ রান করে আউট হন। এরপর হার্দিক পাণ্ডিয়া জুটি বাঁধেন রোহিতের সঙ্গে। রোহিত শর্মা এদিন কার্যত একাই মুম্বইকে একটা লড়াই করার মত রানে নিয়ে যান। তিনি ৬৭ রান করে ফেরেন। স্লগ ওভারে হার্দিক ও পোলার্ড কিছুটা রান টেনে নিয়ে যান। হার্দিক ২৩ রান করে ও পোলার্ড ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। মুম্বই ২০ ওভারে তোলে ১৫৫ রান।
বিশাল স্কোর নয়। নিজেদের মাঠে এমন একটা রান তাড়া করা চেন্নাইয়ের মত শক্তিশালী টিমের পক্ষে অসম্ভব নয়। কিন্তু ব্যাট করতে দলটা নামার পরই বোঝা গেল ধোনি ছাড়া চেন্নাই দলটা আসলে বিগ জিরো। ব্যাট করতে নামার পর থেকে সেই যে চেন্নাইয়ের নিয়মিত উইকেট পড়তে থাকে তা শেষ পর্যন্ত থামেনি। ৩ জন বাদ দিলে কেউ ২ অঙ্কের রানেও পৌঁছতে পারেননি। কে কত রান করে ফেরেন তা দেখলেই দলের দৈন্যদশাটা প্রকাশ্যে এসে পড়ে।
ব্যাট করতে নেমে ওয়াটসন ৮, অধিনায়ক রায়না ২, রাইডু ০, কেদার যাদব ৬, শোরে ৫, চাহর ০ এবং হরভজন সিং ১ রান করে আউট হন। একমাত্র লড়াই দেন মুরলী বিজয় (৩৮), ব্রাভো (২০) এবং স্যান্টনার (২২)। ফলে ১৭ ওভার ৪ বলেই ১০৯ রান করে সব উইকেট হারায় চেন্নাই। মাত্র ১৫৫ রান করেও মুম্বই ম্যাচ জেতে ৪৬ রানে। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হন রোহিত শর্মা।