টানা হারে তলানিতে পৌঁছনো রাজস্থান কলকাতাকে হারিয়ে তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর পালে হাওয়া দিয়েছিল। তারপর সেই হাওয়া ধরে রেখে আরও একটু এগোল তারা। হারাল সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে। লিভিংস্টোন, রাহানে, সঞ্জু স্যামসন সকলেই দলকে জেতানোর লড়াইটা দিলেন। আর দলের সিংহভাগ খেলোয়াড় যখন খেলে দেন তখন জয় অধরা না থাকাটাই আশ্চর্যের হয়।
শনিবার তাই খাতায় কলমে শক্তিশালী হায়দরাবাদকে খুব একটা কষ্ট না করেই হারিয়ে দিল রাজস্থান। দলের রান তুলতে ব্যাটসম্যানেরা ভাল খেললেও এদিন কিন্তু দুরন্ত বোলিংয়ের জন্য ম্যাচের সেরা হন রাজস্থানের তারকা বোলার জয়দেব উনাদকাট।
শনিবার নিজেদের মাঠে টস জিতে প্রথমে হায়দরাবাদকে ব্যাট করতে পাঠান রাজস্থান অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। বড় মাঠ সোওয়াই মান সিং স্টেডিয়াম। ব্যাট করতে নেমে সেই মাঠে রাজস্থানের দুরন্ত বোলিংয়ের সামনে বড় রানের ইনিংস গড়তে অসমর্থ হয় ওয়ার্নার ও উইলিয়ামসন জুটি। রান উঠতে থাকে। তবে টি-২০-এর পাওয়ার প্লে-তে যে গতিতে রান ওঠা উচিত সেই গতিতে নয়। উইলিয়ামসন ১৩ রানে ফিরলেও মণীশ পাণ্ডে ও ওয়ার্নার ম্যাচকে অনেক দূর টেনে নিয়ে যান।
ওয়ার্নার আউট হন ৩৭ রান করে। মণীশ ফেরেন ৬১ রানে। তারপর থেকেই হায়দরাবাদের উইকেট পতন শুরু হয়। বিশ্বকাপে জায়গা পাওয়া বিজয় শঙ্কর ৮ রানে, হুডা ০ রানে, ঋদ্ধিমান সাহা ৫ রানে, সাকিব আল হাসান ৯ রানে, ভুবনেশ্বর কুমার ১ রানে ফেরেন। রশিদ খান ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। হায়দরাবাদ তোলে ১৬০ রান।
বিশাল রান নয়। তবে খুব ফেলে দেওয়ার মত টোটালও নয়। তাড়া করতে নেমে তাই মেপে খেলার সিদ্ধান্ত নেয় রাজস্থান। হিসেবি ব্যাটিংয়ে রান উঠতে থাকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যকে তাড়া করে। শুরুতেই লিভিংস্টোন ও রাহানে জুটি বুঝিয়ে দেয় তারা এদিন ম্যাচ জিততে নেমেছে। জয়ের ভিত গড়ে দেন ওই ২ ওপেনার।
লিভিংস্টোন ৪৪ রান করে ফেরেন। এবার হাল ধরেন রাহানে ও সঞ্জু স্যামসন। রাহানে ৩৯ রান করে ফেরার পর সঞ্জু-স্মিথ জুটি খেলাকে জয়ের দোরগোড়া পৌঁছে দেয়। খেলার প্রায় শেষে এসে ২২ রান করে আউট হন স্মিথ। শেষে টার্নার ও স্যামসন মিলে রাজস্থানকে জয়ে পৌঁছে দেন। সঞ্জু করেন ৪৮ রান।