চেন্নাইয়ের পর চলতি আইপিএলে প্লে অফে দ্বিতীয় দল হিসাবে পৌঁছে গেল দিল্লি ক্যাপিটালস। রবিবার বিকেলের ম্যাচে বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে প্লে অফে জায়গা করে নিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের পরামর্শে চলা এই দলটি। ২০১২ সালে শেষ বারের মত দিল্লি আইপিএল প্লে অফে জায়গা করেছিল। তারপর ৬টি আইপিএলে এই সুযোগ থেকে বঞ্চিতই থেকেছে তারা। অবশেষে ২০১৯ দিল্লিকে সেই জায়গা করে দিল। তাও আবার নাম বদলের পর প্রথম সুযোগেই প্লে অফে তারা। এদিন বেঙ্গালুরুকে দিল্লি হারায় ১৬ রানে। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হন শিখর ধাওয়ান।
টস জিতে নিজেদের মাঠে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন দিল্লির অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। ব্যাট করতে নেমে ১৮ রান করে ফেরেন পৃথ্বী শ। শিখর ধাওয়ান ও শ্রেয়স আইয়ার ম্যাচের হাল ধরেন। আর তা ধরেন বেশ শক্ত হাতেই। এঁরা দুজনে রানের মিটার চালু রাখেন। ধাওয়ান ৫০ রান করে ফেরার পর মাত্র ৭ রান করে ফেরেন ঋষভ পন্থ। এরপর আউট হয়ে যান শ্রেয়সও। শ্রেয়স করেন ৫২ রান।
ইনগ্রাম ফেরেন ১১ রানে। স্লগ ওভারে পরপর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দিল্লির হয়ে খেলে দেন রাদারফোর্ড ও অক্ষর প্যাটেল। রাদারফোর্ড করেন ১৩ বলে ২৮ রান। অক্ষর ৯ বল খেলে ১৬ রান করেন। দিল্লি ২০ ওভারে তোলে ১৮৭ রান। টি-২০ ক্রিকেটের জন্য দারুণ স্কোর। আর সেই সময় যখন এই ম্যাচ জিতলেই প্লে অফের টিকিট পাকা হবে।
বড় রান তাড়া করতে নেমে পার্থিব প্যাটেল ও বিরাট কোহলি খুব ভাল শুরু করেন। মারমুখী পার্থিব ২০ বলে ৩৯ রান করে ফেরেন। তারপরই ২৩ রান করে ফেরেন কোহলি। কিছুটা লড়াই দিলেও এদিন ডেভিলিয়ার্স ফর্ম দেখাতে পারেননি। তিনি ফেরেন ১৭ রান করে। ১৮৮ রান করার লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিং করতে নামার পর বিরাট বা ডেভিলিয়ার্স অথবা ২ জনেরই রান করার দরকার ছিল। কিন্তু এঁরা ২ জনেই কার্যত এদিন ভাল স্কোর করতে ব্যর্থ হন।
ডেভিলিয়ার্স ফেরার পর ক্ল্যাসেন ৩ রান করে, দুবে ২৪ রান করে আউট হন। মাটি কামড়ে বেশ কিছুটা লড়াই দেন গুরকিরত সিং ও স্টোইনিস। গুরকিরত ২৭ রান করে ফেরেন। ওয়াশিংটন সুন্দর নেমেই চালিয়ে খেলতে গিয়ে ১ রান করে আউট হন। স্টোইনিস ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১৭১ রানেই শেষ হয়ে যায় ২০ ওভার। ১৬ রানে জয় পায় দিল্লি। জয়ের সঙ্গে সঙ্গে দিল্লি পৌঁছে গেল প্লে অফে। আর প্লে অফের সব আশা এখানেই শেষ হয়ে গেল বিরাট কোহলির বেঙ্গালুরুর।