এখন আইপিএলে ২টি পজিশনের জন্য লড়াই করছে ৫টি দল। চেন্নাই ও দিল্লি পৌঁছেই গেছে প্লে অফে। আর বেঙ্গালুরুর কোনও সুযোগ নেই। এর বাইরে যখন প্রতিটি দলের কাছে প্রতিটি ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ তখন সানরাইজার্সের কাছে দাঁড়িয়ে হারল কিংস ইলেভেন পঞ্জাব।
হায়দরাবাদের হয়ে এই সিজনের শেষ ম্যাচে একাই পরাক্রম দেখিয়ে দলকে জিতিয়ে দিয়ে গেলেন ডেভিড ওয়ার্নার। তিনি ফিরে গেলেন দেশে। বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে। ফলে আগামী ম্যাচে তাঁকে পাবে না সানরাইজার্স। তবে তার আগে তাঁর কাজটা করে গেলেন ওয়ার্নার। হারিয়ে দিয়ে গেলেন পঞ্জাবকে। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচও হন ওয়ার্নার।
টস জিতে হায়দরাবাদের মাঠে হায়দরাবাদকেই প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান পঞ্জাব অধিনায়ক রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন ওয়ার্নার। সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত দিচ্ছিলেন বাংলার ঋদ্ধিমান সাহা। ঋদ্ধি ১৩ বলে ২৮ রান করে ফেরার পর মণীশ পাণ্ডেকে নিয়ে রানের চাকা ঘোরাতে থাকেন ওয়ার্নার। পাণ্ডে ফেরেন ৩৬ রান করে। অবশ্য মণীশ ফেরার পরেই ৮১ রান করে ফেরেন ওয়ার্নার।
শেষের দিকে নেমে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও মহম্মদ নবি অল্প বল খেলে মারকাটারি রান তুলে দেন। নবি ১০ বলে ২০ রান ও কেন ৭ বলে ১৪ রান করে দেন। যার হাত ধরে হায়দরাবাদ ২০০ রান পার করে দেয়। ২০ ওভারে তারা ৬ উইকেট হারিয়ে করে ২১২ রান।
২০ ওভারে এত বড় স্কোর তাড়া করা রীতিমত কঠিন কাজ। অবশ্য যে দলে ক্রিস গেইল আছেন সেই দলের পক্ষে হয়ত অসম্ভব ছিলনা। কিন্তু তার জন্য প্রথম শর্তই ছিল ক্রিসকে মাঠে থাকতে হবে। সেটাই তো হল না। মণীশ পাণ্ডের অসামান্য ক্যাচে মাত্র ৪ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হল গেইলকে। এখানেই ম্যাচে ৫০ শতাংশ জিতে গিয়েছিল হায়দরাবাদ। যদিও গেইলের কাজটা একা হাতে টানতে থাকেন কেএল রাহুল। মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে সঙ্গে করে দুরন্ত ব্যাটিং করতে শুরু করেন তিনি। মায়াঙ্ক ২৭ রান করে ফেরেন। নামেন পুরান। তিনিও ছোট হলেও বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। করেন ২১ রান।
নিয়মিত উইকেট পতন আর রান উঠলেও ২১৩ রান করার জন্য যে গতি থাকা দরকার ছিল তা না থাকা ক্রমশ পঞ্জাবের কাছে থেকে ম্যাচকে দূরে নিয়ে যেতে থাকে। মিলার ১১ রানে ও অশ্বিন ০ রানে ফেরার পর খেলায় তাদের জয়ের আশা কার্যত ক্ষীণ হয়ে যায়। রাহুল ফেরেন ৭৯ রান করে। ২০ ওভারে ১৬৭ রান করে পঞ্জাব। ম্যাচ হারে ৪৫ রানে।