জিতলে একটা সুযোগ থেকে যেত। ভাল ভাবেই থেকে যেত। হায়দরাবাদ হেরেছে। ফলে রাজস্থান যদি জিতে ১৩ পয়েন্টে থাকত তাহলে কলকাতা হারলেই তারা চলে যেত প্লে অফে। সুযোগ ছিল। কিন্তু সেই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বিশ্রী হার হেরে প্লে অফের দৌড় থেকে ছিটকে গেল রাজস্থান।
শনিবার ২টি খেলা হয়েছে। দুটি খেলার ফলাফলই কেকেআরের প্লে অফে যাওয়ার রাস্তা পরিস্কার করেছে। রাজস্থান শনিবার দিল্লির কাছে তাদের লিগের শেষ খেলায় হারে ৫ উইকেটে। ২৩ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে যায় দিল্লি। আইপিএলের অন্যতম কম রানের ম্যাচের তালিকায় এই ম্যাচ জায়গা করে নিল।
টস জিতে দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা ময়দানে দিল্লির বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজস্থান। ব্যাট করতে নেমে থেকেই নিয়মিত উইকেট পতন শুরু হয় মরুরাজ্যের দলের। যেখানে বড় রানের ইনিংস খেলে দিল্লিকে চাপে ফেলা ছিল পরিকল্পনা সেখানে তারাই চাপে পড়ে যায়।
মাত্র ২ রান করে ফেরেন অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে। তারপর থেকে পরপর লিভিংস্টোন ১৪ রানে, স্যামসন ৫ রানে, লোমরোর ৮ রানে, শ্রেয়স গোপাল ১২ রানে, স্টুয়ার্ট বিনি ০ রানে, গথাম ৬ রানে, সোধি ৬ রানে ডাগ আউটে ফিরে যান। এমন শোচনীয় পরিস্থিতিতে রাজস্থানের হয়ে একমাত্র লড়াইটা দেন ১৭ বছরের কিশোর রিয়ান পরাগ। মাটি কামড়ে পড়ে থেকে ৫০ রান করেন তিনি। রাজস্থান ২০ ওভারের শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে করে ১১৫ রান।
সামান্য রানের স্কোর তাড়া করতে নেমে দিল্লির শিখর ধাওয়ান ১৬ রানে ও পৃথ্বী শ ৮ রানে আউট হন। এরপর ঋষভ পন্থ ও অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার খেলা কিছুটা টেনে নিয়ে যান। শ্রেয়স ফেরেন ১৫ রান করে। ইনগ্রাম করেন ১২ রান। রাদারফোর্ড ফেরেন ১১ রান করে।
রাদারফোর্ড যখন ফেরেন তখন দিল্লির দরকার ছিল জয়ের জন্য মাত্র ১০ রান। হাতে প্রচুর বল। সেখানে ঋষভ পন্থ অক্ষর প্যাটেলকে সঙ্গে করে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেন। ঋষভ অপরাজিত থেকে করেন ৫৩ রান। ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের সেরা হন দিল্লির স্পিনার অমিত মিশ্র।