হায়দরাবাদ যদি তাদের শেষ ম্যাচে বিরাট কোহলির দলকে হারাতে পারত তবে তারা প্লে অফে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে যেত। কারণ কেকেআর যদি রবিবার মুম্বইকে হারিয়েও দেয় তাহলেও নেট রান রেটে হায়দরাবাদের এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকত। কিন্তু সেই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হারল হায়দরাবাদ। তবে লড়াই হল হাড্ডাহাড্ডি।
বিরাট কোহলিদের ব্যাটিংয়ে ধস নেমেও হেটমায়ার ও গুরকীরতের বিধ্বংসী ব্যাটিং খেলার পুরো চেহারাটাই বদলে দিল। যে ভাবে এঁরা ২ জনে খাদের কিনারায় পৌঁছে যাওয়া দলকে লড়ে বার করে আনলেন তা মুগ্ধ করল ক্রিকেটপ্রেমীদের।
টস জিতে ঘরের মাঠে প্রথমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ব্যাটিং করতে পাঠান বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ব্যাট করতে নেমে ভাল শুরু করে হায়দরাবাদ। ঋদ্ধিমান সাহা ২০ রান করে ফেরার পর গুপতিলের সঙ্গে ব্যাট করতে নামেন মণীশ পাণ্ডে। অল্প সময়ের মধ্যেই ৩০ রান করে আউট হন গুপতিল। মণীশ পাণ্ডের সঙ্গে জুটি বাঁধেন হায়দরাবাদের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
এদিন কিন্তু তেমন রান পাননি মণীশ। ৯ রানে ফিরতে হয় তাঁকে। বিজয় শঙ্কর ও উইলিয়ামসন কিছুটা ম্যাচ টানলেও বিজয় শঙ্কর ফেরেন ২৭ রান করে। এরপর পাঠান ৩, মহম্মদ নবি ৪, রশিদ খান ১ রান করে ফেরেন। উইলিয়ামসন একাই ম্যাচ টেনে নিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে তিনি করেন ৭০ রান। ২০ ওভারে ১৭৫ রান করে হায়দরাবাদ।
যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং স্কোর। যা তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বেঙ্গালুরু। পার্থিব প্যাটেল ০ রান করে আউট হন। বিরাট কোহলি কিছুটা মারার চেষ্টা করলেও মাত্র ১৬ রানে ফিরতে হয় তাঁকেও। ১ রান করে ফেরেন ডেভিলিয়ার্সও। দলের ২০ রানের মাথায় ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ায় খাদের কিনারায় পৌঁছে যায় বেঙ্গালুরু।
ক্রিকেট বোদ্ধারাও মনে করছিলেন এই ম্যাচ হায়দরাবাদ জিতছে। কিন্তু ক্রিকেটে অনেক কিছুই হয়। এখান থেকে ম্যাচের হাল ধরেন ২১ বছর বয়সের ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের তরুণ প্রতিভা শিমরন হেটমায়ার ও গুরকীরত সিং। ম্যাচ যে এখান থেকে এই ২ জন জয়ে পৌঁছে দেবেন তখনও বোধহয় ভাবতে পারেননি হায়দরাবাদের গোটা টিম সহ তাদের সমর্থকেরা।
৪৭ বল খেলে হেটমায়ার করেন ৭৫ রান। ৬টি ছক্কা ও ৪টি চার হাঁকান তিনি। অন্যদিকে শুরু থেকে একটু ধরে খেললেও পরে হাত খোলেন গুরকীরত। ৪৮ বলে ৬৫ রান করেন তিনি। ১টি ছক্কা ও ৮টি চার মারেন তিনি। রশিদ খানের মত বোলারও এদিন প্রবল প্রহারের শিকার হন। ৪ ওভারে ৪৪ রান দেন তিনি।
গুরকীরত যখন ফেরেন তখন দলের জয়ের জন্য দরকার মাত্র ৯ রান। এই অবস্থায় ওয়াশিংটন সুন্দর ০ রান করে আউট হন। কিন্তু কলিন গ্র্যান্ডহোম ও উমেশ যাদব খেলা জয় পর্যন্ত পৌঁছে দেন। ৪ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জেতে বেঙ্গালুরু। শেষ ২ বলে ২ চার হাঁকান যাদব। ম্যাচের সেরা হন হেটমায়ার। বেঙ্গালুরু জিতলেও তাদের কোনও প্লে অফে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। হায়দরাবাদ হারার পর রবিবার মুম্বইকে হারাতে পারলেই প্লে অফে পৌঁছে যাবে কলকাতা নাইট রাইডার্স।