শেষ ম্যাচে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবকে পেয়েছিল চেন্নাই। প্লে অফে পৌঁছনোর সামান্য আশাটুকু জিইয়ে রাখতে শেষ ম্যাচটা জিততে পঞ্জাবের আবার জয় জরুরি ছিল। এই অবস্থায় চেন্নাইয়ের মত শক্তিশালী দলকে এদিন সহজে হারাল তারা। এই জয়ের ফলে মুম্বইয়ের লিগ শীর্ষে পৌঁছনোর সম্ভাবনা উজ্জ্বল হল।
কারণ কেকেআরকে বড় রানে হারাতে পারলে তাদের রান রেট বেশি হবে। সেক্ষেত্রে চেন্নাইয়ের সঙ্গে সমান পয়েন্ট নিয়েও তারা ১ নম্বরে পৌঁছে যাবে। চেন্নাই ২ নম্বরে নেমে যাবে। এদিন কেএল রাহুল ও ক্রিস গেইল খেলে দেন। ফলে ফাফ ডু প্লেসির ভয়ংকর ৯৬ রানের ইনিংসও ফিকে হয়ে যায়।
ঘরের মাঠে এদিন টস জিতে প্রথমে চেন্নাইকে ব্যাট করতে পাঠায় পঞ্জাব। ব্যাট করতে নেমে এদিনও ব্যর্থ ওয়াটসন। ৭ রানে ফেরেন তিনি। ডু প্লেসির সঙ্গে জুটি বাঁধেন রায়না। আর ২ জনে প্রবল প্রতিপত্তি নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন। রানের চাকা ঘুরতে থাকে দ্রুত। ৫৩ রান করে ফেরেন রায়না।
ধোনি ব্যাট করতে নেমে ছন্দে থাকা ডু প্লেসিকে সঙ্গত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ডু প্লেসি রান করতে থাকেন। ধোনি একটা দিক ধরে রাখেন। ডু প্লেসি ৯৬ রানে ফেরার পর রাইডু ১ রানে ও কেদার যাদব ০ রানে আউট হন। ফলে শেষ ওভারে তেমন রান করতে পারেনি চেন্নাই। ২০ ওভারের শেষে ১৭০ রান করে ধোনিবাহিনী।
ব্যাট করতে নেমে কিংস ইলেভেনের ২ ওপেনার কেএল রাহুল ও ক্রিস গেইল দুরন্ত ফর্মে ব্যাট করতে থাকেন। রানের চাকা তরতরিয়ে চড়তে থাকে। তবে গেইল যে ধরণের ব্যাট করতে অভ্যস্ত এদিন তার ঠিক উল্টো পথে হেঁটে ব্যাট করতে থাকেন তিনি। ২৮ বল খেলে ২৮ রান করে আউট হন। তার আগে অবশ্য কেএল রাহুল একটা বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন।
৩৬ বলে ৭১ রান করেন তিনি। রাহুলের এই মারকাটারি ইনিংস খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয়। পুরান করেন ৩৬ রান। মায়াঙ্ক আগরওয়াল মাত্র ৭ রানে ফিরলেও মনদীপ ও কুরান খেলা বার করে নেন। ১২ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে ম্যাচ জেতে কিংসরা। ম্যাচের সেরা হন কেএল রাহুল।