একে ঘরের মাঠ। তার ওপরে লিগ পর্যায়ে টানা ১ নম্বরে থাকা দল। একদম শেষ ম্যাচে মুম্বই কলকাতাকে না হারাতে পারলে ধোনিরা ১ নম্বরে থেকেই লিগ শেষ করত। ধোনির দলকে ধারে ভারে সকলে এগিয়েও রাখছিলেন। কিন্তু সেই দলটাই প্লে অফের ম্যাচে মুখ থুবড়ে পড়ল মুম্বইয়ের সামনে। ধরে খেলার মানসিকতা ধোনির দলকে অল্প রানের মধ্যেই ফেলে রাখল। যা তুলে নিতে নেহাতই কষ্ট করতে হল না মুম্বইকে।
এদিনের জয়ের ফলে সরাসরি আইপিএলের ফাইনালে পৌঁছে গেল মুম্বই। অন্যদিকে ধোনির দল আরও একটা সুযোগের অপেক্ষায় রইল। লিগের তৃতীয় ও চতুর্থ দলের মধ্যে লড়াইয়ে যে জিতবে তার সঙ্গে খেলতে হবে চেন্নাইকে। সেই ম্যাচের বিজেতা যাবে ফাইনালে মুম্বইয়ের সঙ্গে লড়তে।
চেন্নাইয়ের মাঠে টস জিতে এদিন প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। বড় রানের ইনিংস গড়ে মুম্বইকে চাপে ফেলার পরিকল্পনা কিনা জানা নেই, তবে বাস্তবে হল উল্টো। প্রবল চাপে পড়ে গেল চেন্নাই। দ্রুত ডু প্লেসি (৬), রায়না (৫), ওয়াটসন (১০) ফেরার পর রান তোলার ঝুঁকিতে অনেকটাই লাগাম দেয় চেন্নাই। এরপর রান উঠতে থাকে ধীরে। চেন্নাইয়ের ব্যাটিং বুঝিয়ে দেয় তারা উইকেট হারাতে প্রস্তুত নয়। তাতে রান কম ওঠে উঠুক।
মুরলী বিজয় কিছুক্ষণ ব্যাট করে ২৬ বলে ২৬ রান করার পর রাইডু এবং ধোনি ম্যাচের হাল ধরেন। তবে রান যে এঁদের হাত থেকেও বিশাল কিছু এসেছে তা নয়। রান উঠেছে ধীরেই। তবে আর উইকেট হারায়নি চেন্নাই সুপার কিংস। রাইডু ৪২ রান করে এবং ধোনি ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। চেন্নাই ২০ ওভারের শেষে করে ১৩২ রান।
প্লে অফ থেকে ফাইনালে পৌঁছনোর খেলায় এত কম রানের চ্যালেঞ্জ পেলে সব দলই খুশি হয়। জয়ও প্রায় নিশ্চিত থাকে। মুম্বইয়ের ক্ষেত্রেও অন্যথা হয়নি। যদিও ব্যাট করতে নেমে রোহিত শর্মা ৪ রানে ও ডি কক ৮ রানে ফেরেন। কিন্তু লক্ষ্য কম রানের থাকায় এই ২ গুরুত্বপূর্ণ উইকেট পতনও মুম্বইয়ের ওপর চাপ তৈরি করতে পারেনি। এরপর সূর্যকুমার যাদব ও ঈশান কিষাণ ধরে ধরে মাপা খেলে মুম্বইকে জয়ের দিকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন।
ঈশান ২৮ রান করে ফেরেন। তাহিরের বলে ঈশান ফেরার পর ব্যাট করতে নামেন ক্রুণাল পাণ্ডিয়া। তাহিরের পরের বলেই ফেরেন তিনি। নামেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। সূর্যকুমার যাদব ও হার্দিক মিলেই মুম্বইকে ৯ বল বাকি থাকতে জয়ের অঙ্কে পৌঁছে দেন। সূর্যকুমার অপরাজিত থেকে করেন ৭১ রান। হার্দিক অপরাজিত থেকে করেন ১৩ রান। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হন সূর্যকুমার যাদব। কঠিন পিচেও এমন এক দুরন্তই ইনিংসের জন্য তাঁকে ম্যাচের সেরা বেছে নেওয়া হয়।