একেবারেই ছিল নবীন-প্রবীণ লড়াই। একদিকে ধোনির অভিজ্ঞতায় ভরপুর একটা দল। যেখানে এমন খেলোয়াড়েরাও রয়েছেন যাঁরা দেশের হয়ে খেলা থেকে কবেই ছুটি নিয়েছেন। অন্যদিকে শ্রেয়স আইয়ারের দিল্লি। গোটা টিমটার সিংহভাগই তরুণ রক্তে ভরপুর। যাদের মেন্টর ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, রিকি পন্টিংয়ের মত ডাকসাইটে খেলোয়াড়েরা। কিন্তু মাঠে দিল্লির তারুণ্য হেরে গেল ধোনির অভিজ্ঞতার সামনে। ফের একবার ফাইনালে পৌঁছে গেল চেন্নাই। মুখোমুখি মুম্বই। যে দলটার রেকর্ডই বলে দিচ্ছে তারা প্রতি এক বছর অন্তর ঘরে কাপ নিয়ে যেতে প্রায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে।
প্লে অফে ফাইনালে পৌঁছে গেছে মুম্বই। দ্বিতীয় দল কোনটি হবে তার জন্যই ছিল এদিন দিল্লি বনাম চেন্নাইয়ের লড়াই। বিশাখাপত্তনমের রাজশেখর রেড্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে শুক্রবার প্রথমে দিল্লিকে ব্যাট করতে পাঠান মহেন্দ্র সিং ধোনি। ব্যাট করতে নেমে যেমন দিল্লির নিয়মিত উইকেট পড়তে থাকে। তেমনই গোটা দলটাই কেমন যেন গুটিয়ে খেলতে থাকে। টি-২০-র খেলা এদিন দিল্লি খেলছিলনা।
বড় রানের জন্য যেভাবে পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভার বা তারপরেও লাগাতার রানের চাকা ঘোরাতে হয় এদিন তা দিল্লির ব্যাটে দেখা যায়নি। পৃথ্বী শ ৫ রানে ফেরেন। ধাওয়ান ফেরেন ১৮ রানে। মুনরো ফেরেন ২৭ রান করে। অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার ১৩। কিছুটা রান যা করেন ঋষভ পন্থ। ৩৮ রান করে আউট হন তিনি। এছাড়া অক্ষর প্যাটেল ৩, রাদারফোর্ড ১০, কিমো পল ৩, বোল্ট ৬ রানে ফেরেন। সব মিলিয়ে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান করে দিল্লি।
ফাইনালে পৌঁছনোর ম্যাচে এমন কম রানের লক্ষ্য কার্যত ধোনির দলের সামনে লোপ্পা ক্যাচের মত ছিল। যা ঠান্ডা মাথায় মুঠোবন্দি করতে ভুল করেনি চেন্নাই দল। চেন্নাইকে এদিন জিতিয়ে দেন তাদের ২ ওপেনারই। ডু প্লেসি ও ওয়াটসন যে মারকাটারি ইনিংস খেলেন তারপর আর ম্যাচটা জয়ের জন্য বাকি খেলোয়াড়দের ভাবতে হয়নি। ডু প্লেসি করেন ৫০ রান। অন্যদিকে ওয়াটসনও করেন ৫০ রান।
এই ২ খেলোয়াড় মিলেই ১০০ রান তুলে দিয়ে যান। দরকার ছিল আরও ৪৮ রান। পরে রায়না ১১ রান আর ধোনি ৯ রানে আউট হন। রাইডু অপরাজিত থেকে ২০ রান করে ম্যাচ জিতে নেন। তবে এদিন জয়ের জন্য ২ রান বাকি থাকতে ধোনির ছক্কা হাঁকিয়ে জয়ের চেষ্টা কিন্তু ক্রিকেট বোদ্ধাদের অনেকের ভাল লাগেনি। যেখানে জয় সহজেই আসে সেখানে নাটকীয় জয় তৈরির চেষ্টা ধোনিকে শোভা পায়না বলেই মনে করছেন তাঁরা। এদিন ম্যাচের সেরা হন ডু প্লেসি। ফাইনাল আগামী রবিবার।