আইপিএল শেষ। দেড় মাস ধরে চলা যুদ্ধের সমাপ্তি। দেশের সবচেয়ে বর্ণোজ্জ্বল ক্রীড়া প্রতিযোগিতার এ বছরের মত ইতি। সারা সিজন জুড়ে সেরাদের প্রতিযোগিতার শেষ দিনে পুরস্কৃত করা হল। পুরস্কৃত করা হল ফাইনালের সেরাদের। আর মুম্বইয়ের হাতে উঠল আইপিএল ট্রফি। চতুর্থ বারের জন্য ট্রফি হাতে তুলল তারা। ২০১৩, ২০১৫, ২০১৭, ২০১৯ সালের আইপিএল বিজেতা মুম্বই কার্যতই এদিন ট্রফি হাতে তোলার পর উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে। ফাইনালে দুরন্ত বোলিংয়ের জন্য ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হন যশপ্রীত বুমরাহ।
ফাইনালে যে পুরস্কারগুলি উঠে এল তাতে সেরা ক্যাচের জন্য পুরস্কৃত হলেন শার্দূল ঠাকুর। ডু প্লেসি হলেন সেরা স্ট্রাইকার। স্টাইলিশ প্লেয়ার অফ দ্যা ম্যাচ হলেন পোলার্ড। অবশ্য দলের ট্রফি জেতা, তাঁর ব্যাটিং অবদান মিলিয়ে বার্থ ডে বয় পোলার্ড বেজায় খুশি। গেম চেঞ্জার অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন রাহুল চাহর।
ফাইনালের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেই প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেরাদের পুরস্কৃত করা হয়। এবার সেই তালিকায় ঢুকে পড়লেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের ২ খেলোয়াড়। এল ৩টি পুরস্কার। এই আইপিএলে ইমার্জিং প্লেয়ার অফ দ্যা টুর্নামেন্ট হন কলকাতার শুভমান গিল। মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার অফ দ্যা টুর্নামেন্ট হন আন্দ্রে রাসেল। সুপার স্ট্রাইকার অফ দ্যা টুর্নামেন্টও হন তিনিই। রাসেলের স্ট্রাইক রেট ছিল ২০৫। এই ৩টি পুরস্কার এসেছে কলকাতার ঘরে। যে দলটা লিগ পর্যায় থেকেই বিদায় নিয়েছে।
এর বাইরে প্রতিযোগিতার সেরা ক্যাচের পুরস্কার পেয়েছেন পোলার্ড। ১৭ বলে ৫০ করে দ্রুততম ৫০ রান করার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। স্টাইলিশ প্লেয়ার অফ দ্যা টুর্নামেন্ট হয়েছেন কেএল রাহুল। গেম চেঞ্জার অফ দ্যা টুর্নামেন্ট হয়েছেন রাহুল চাহর। এছাড়া প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি রান করে অরেঞ্জ ক্যাপ বা কমলা টুপি জিতে নিয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। ৬৯২ রান করেছেন তিনি। সবচেয়ে বেশি উইকেট নিয়ে পার্পল ক্যাপ বা বেগুনি টুপি জিতে নিয়েছেন ইমরান তাহির। ২৬টি উইকেট নেন তিনি। এদিন রাসেল, ওয়ার্নার ও কেএল রাহুল অনুপস্থিত ছিলেন। ফেয়ার প্লে পুরস্কার জিতেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।