বোলার বল করার সময় নন স্ট্রাইকিং এন্ডে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যাটসম্যান অনেক সময় ক্রিজ ছেড়ে সামান্য এগিয়ে যান। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বল করার আগেই বোলার দাঁড়িয়ে পড়তে পারেন। হাতে থাকা বল ঠেকিয়ে দিতে পারেন নন স্ট্রাইকিং এন্ডের উইকেটে। ক্রিকেটের নিয়মে কিন্তু এটা আউট।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বল করার সময় ভারতের ভিনু মানকড়ের সেই বিখ্যাত আউট আইনত হলেও ক্রিকেটের স্পিরিটের বিরোধী বলে মনে করেন অনেক খেলোয়াড়। তাই আজকাল এমন হলে ক্রিকেটীয় সৌহার্দ্য দেখিয়ে প্রথমবার বোলার ব্যাটসম্যানকে সতর্ক করেন। তারপরও তিনি এমন করলে মানকড় আউটের শিকার হতে হয়। তাতে ক্রিকেট মহলও কিছু মনে করেনা। যুক্তি হল তোমায় তো ভাই সতর্ক করা হয়েছিল, তারপরও কেন সেই এক কাজ করলে? কিন্তু আইন বলছে সতর্কতা শুধুই স্পোর্টসম্যান স্পিরিট মাত্র। প্রথমেই এভাবে আউট করলে আউট।
সেটাই হল জয়পুরের সোওয়াই মানসিং স্টেডিয়ামে। এবারের আইপিএলে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল কিংস ইলেভেন পঞ্জাব ও রাজস্থান রয়্যালস। খতিয়ান বলছে এতদিন ধের আইপিএল চলছে। কোনওবার রাজস্থানে এসে জয়পুরের পিচে রয়্যালসদের হারাতে পারেনি পঞ্জাব। এই প্রথম সেই ঘটনা ঘটল। সেই ম্যাচে রাজস্থান ভাল অবস্থায় ব্যাট করছিল। জস বাটলারের মার সবে গতি নিতে শুরু করেছিল। অশ্বিনের পঞ্জাব জানত বাটলার ডেঞ্জারম্যান। তাই বাটলারকে ক্রিজ আগেভাগে ছাড়তে দেখেই অশ্বিন বল ডেলিভারি না করে দাঁড়িয়ে পড়ে নন স্ট্রাইকিং এন্ডের উইকেট ভেঙে দেন।
সিদ্ধান্ত যায় তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে। ততক্ষণে মাঠে অশ্বিনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয়ে যায় বাটলারের। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে। এরমধ্যেই তৃতীয় আম্পায়ার আউট বলে জানিয়ে দেন। প্যাভিলিয়নে ফেরার সময় রীতিমত ক্ষুব্ধ ছিলেন বাটলার। এমন আউট যে তিনি মেনে নিতে পারছেননা তা পরিস্কার বোঝা যাচ্ছিল। এদিকে এই আউট নিয়ে তারপরই শুরু হয়ে সমালোচনা।
অশ্বিনের এভাবে আউট করাকে ক্রিকেট বোদ্ধাদের একটা বড় অংশ ভাল চোখে নেননি। যদিও বেআইনি কিছু আশ্বিন করেননি। তবু বিতর্ক দানা বাঁধতে শুরু করে। যা পরিস্থিতি তাতে এই আউট এবারের আইপিএলের পুরো মরসুম জুড়েই আলোচনার কেন্দ্রে থেকে যাবে।