আইপিএল শুরু হয়েছে ১২ বছর হল। এবার দ্বাদশ আইপিএলে এসে দাঁড়িয়েও একটি রেকর্ড অক্ষুণ্ণ রেখেছিল রাজস্থান রয়্যালস। সেই রেকর্ড সোমবার রাতে ভেঙে গেল। খতিয়ান বলছে ২০০৮ থেকে শুরু হওয়া আইপিএলে এখনও পর্যন্ত রাজস্থান কখনও কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের কাছে জয়পুরে হারেনি। সেই রেকর্ড এদিন ভেঙে গেল। এই প্রথম জয়পুরে রয়্যালসদের হারাল কিংসরা। কিংস ইলেভেন জেতে ১৪ রানে।
সোমবার জয়পুরের সোওয়াই মানসিং স্টেডিয়ামে টস জিতে রাজস্থানের অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে কিংসদের ব্যাট করতে পাঠান। কেএল রাহুল ৪ রান করে ফিরলেও বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন গেইল। স্বভাবসিদ্ধ মারকাটারি ইনিংস খেলতে শুরু করেন তিনি। সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত দেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। মায়াঙ্ক ২২ রান করে ফেরার পর গেইলের সঙ্গী হন সরফরাজ নৌশাদ খান। গেইল ৭৯ রান করে ফেরেন। তবে দলের জন্য যা করার তা করে দিয়ে যান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পুরান ১২ রান করে ফিরলেও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন খান (৪৬) ও মনদীপ সিং (৫)। কিংসরা করে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুরন্ত শুরু করেন জস বাটলার ও অজিঙ্ক রাহানে। বিশেষত বাটলারের ব্যাট চলতে থাকে নির্মমভাবে। ক্রমশ খেলা রাজস্থানের দিকে ঝুঁকতে শুরু করে। ২৭ রান করে অশ্বিনের বলে রাহানে ফিরলেও সঞ্জু স্যামসন ও বাটলার চালাতে থাকেন। আর ঠিক সেই সময়েই ঘটে সেই আলোচ্য ঘটনা। অশ্বিন মানকড় আউট করে ফেরান বাটলারকে (৬৯)। বিতর্কের ঝড় ওঠে ক্রিকেট মহলে। তবে একজন অধিনায়ক সবসময় জিততে চাইবেন। অশ্বিনও তাই চেয়েছেন। একথাও মেনে নেন অনেকে।
বাটলার ফিরলেও খেলা রাজস্থানের কব্জায় ছিল। কিন্তু তারপর থেকেই শুরু হল রাজস্থানের হারাকিরি। একের পর এক উইকেট পড়তে থাকে। অধৈর্য হয়ে মারার চেষ্টা করতে থাকেন সকলে। ক্যাচ উঠতে থাকে। আর সেই সুযোগ হাতছাড়া করেনি কিংস। ১, ২, ৩, ৬ এমন সব রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরার ধুম পড়ে যায়। কেমন যেন নিজেরাই ম্যাচটা হাতছাড়া করতে থাকে রাজস্থান। তাও আবার ঘরের মাঠে। পেশাগত খেলোয়াড়দের মধ্যে এমন অগোছালো ক্রিকেট মেনে নিতে পারছিলেন না দর্শকরাও। অবশেষে ২০ ওভার খেলে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রানে শেষ হয় গোলাপি ব্রিগেডের ইনিংস। ম্যাচের সেরা হন ক্রিস গেইল।