সাধারণত আইপিএল নিলামে বড় একটা আসেন না শাহরুখ খান। কিন্তু এবার এলেন। নিলামে কলকাতা নাইট রাইডার্সের তরফে থাকেন জুহি চাওলা। এবারও রইলেন। এবার কেকেআর-এর হাতে মোটা অঙ্ক ছিল কেনাকাটার জন্য। আর সেই টাকার একটা বড় অংশ তারা ব্যয় করল একজন খেলোয়াড়কে তুলতে। প্যাট কামিন্সকে তুলে শেষ হাসি হাসল কেকেআর। কারণ প্যাটকে তোলার জন্য সকলেই বোলি লাগাতে শুরু করেছিল। কিন্তু কেকেআর ১৫ কোটি ৫০ লক্ষ পর্যন্ত ওঠার পর আর কেউ দর হাঁকেনি। ফলে ওই টাকায় কেকেআর-এ এলেন অস্ট্রেলিয়ার বড় নাম প্যাট কামিন্স।
আইপিএল-এর ইতিহাসে এত দাম দিয়ে কোনও বিদেশি খেলোয়াড়কে কেউ কেনেনি। এর আগে বেন স্টোকসকে ১৪.৫ কোটি টাকা খরচ করে কেনা হয়েছিল। সেই অঙ্ককেও টপকে গেল কেকেআর। এখনও পর্যন্ত ১৬ কোটি টাকা দিয়ে একজন খেলোয়াড়কে তোলা আইপিএল-এ ইতিহাস। তবে তিনি ছিলেন ভারতীয় খেলোয়াড়। যুবরাজ সিং। ২০১৫ সালে যুবরাজকে ১৬ কোটি টাকা দিয়ে তোলে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস।
কেকেআর এদিন আরও একজনকে তুলে নিল। ইয়ন মর্গান। গত বিশ্বকাপে জয়ী ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। তাঁকে তুলে এদিন চমক দেয় কেকেআর। দর ওঠে ১০ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। মর্গান ও কামিন্সকে কিনতে মোটা অঙ্ক খরচ করার পর কেকেআর-এর হাতে আর বেশি অর্থ পড়ে ছিলনা। অবশ্য তারপরেও কেকেআর রাহুল ত্রিপাঠীকে তুলে নেয়। তুলে নেয় ১ কোটি টাকা খরচ করে টম ব্যান্টনকে। ক্রিস গ্রিনকেও কেনে কেকেআর। এছাড়াও এদিন বরুণ চক্রবর্তীর জন্য ৪ কোটি খরচ হয় কেকেআর-এর। শাহরুখের দল এদিন খরচ করেছে প্রবীণ তাম্বে, নিখিল নায়েক, এম সিদ্ধার্থের পিছনেও।
ম্যাক্সওয়েলকে কিনেছে ১০ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা খরচ করে কিংস ইলেভেন পঞ্জাব। ক্রিস মরিসকে ১০ কোটি টাকা খরচ করে তুলেছে বেঙ্গালুরু। অ্যারন ফিঞ্চকেও তুলেছে বিরাটের দল। কেকেআর-এর ছেড়ে দেওয়া ক্রিস লিনকে ২ কোটি টাকা খরচ করে তুলে নিয়েছে মুম্বই। শিমরন হেটমায়ারকে তুলে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। এদিন মোট ৬৩ জন খেলোয়াড় বিক্রি হয়েছেন। সব দল মিলিয়ে এদিন কেনায় খরচ করেছে ১৪০ কোটির কিছু বেশি টাকা। সব দলের হাতেই এখন কিছু করে টাকা রয়েছে। এদিন আইপিএল নিলামের আসর বসে কলকাতায়।