দাঁড়াতেই দিল না মুম্বই, লজ্জার হার দিয়ে আইপিএল শুরু করল কলকাতা
পুরো ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে কার্যত মাথা তুলতে দিল না মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। লজ্জার হার দিয়ে আইপিএল শুরু করল কলকাতা।
আবুধাবি : রাসেল ঝড়। বিশাল অঙ্ক দিয়ে কেনা প্যাট কামিন্স। নারিনের ঘূর্ণি। মর্গানের মত বিশ্বজয়ী দলের অধিনায়ক। কলকাতা নাইট রাইডার্স নিয়ে আশায় বুক বাঁধছিলেন অনুরাগীরা।
বুর্জ খলিফা-তেও জ্বলে উঠেছিল কলকাতার জয়গান। কিন্তু খেলার ফল দাঁড়িয়ে থাকে ওইদিন কে খেলে দিল তার ওপর। আর সেই খেলে দেওয়ায় প্রশ্নে মুম্বই যে কলকাতার থেকে কতটা এগিয়ে তা ফের একবার আবুধাবির মাঠে প্রমাণ হয়ে গেল। লজ্জার হার দিয়ে এবারের আইপিএল শুরু করল কলকাতা।
টস জিতেছিলেন কলকাতার অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
ব্যাট করতে নেমে প্রথম ২টো ওভার নিজেদের সেট করতে নেয় মুম্বই। দ্রুত ফেরেন ডি কক। কিন্তু তারপর শুরু হয় মাঠে তাণ্ডব। রোহিত শর্মা আর সূর্যকুমার যাদবের ব্যাট দিয়ে শুরু হয় রানের বন্যা। কলকাতার কোনও বোলারই দাঁড়াতে পারছিলেন না রোহিত-সূর্যর সামনে।
রোহিত অধিনায়কের মত খেলেন। ৮০ রান করেন তিনি। সূর্যকুমার করেন ৪৭ রান। এছাড়া সৌরভ তিওয়ারি ২১, হার্দিক পাণ্ডিয়া ১৮ করেন। মুম্বই করে ১৯৫ রান।
আরও একটু বেশি হতেই পারত। যদিনা তারা ১৯ তম ওভারে ভাল রান করা থেকে বিরত থাকত।
১৯৬ রান তাড়া করতে নেমে কলকাতা নাইট রাইডার্স শুরু থেকেই নড়বড় করতে থাকে। একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে তারা।
অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক ৩০ রান করে ফেরেন। রাসেল এদিন ব্যর্থ। ১১ রান করেন রাসেল। মর্গান করেন ১৬ রান। নীতীশ রাণা করেন ২৪ রান।
একমাত্র নজর কাড়লেন প্যাট কামিন্স। বুমরাহ-র একটি ওভারে ৪টি ছক্কা হাঁকান তিনি। দলের হয়ে সবচেয়ে বেশি রানও করেন তিনি। করেন ৩৩ রান। এখান থেকেই পরিস্কার যে জয়সূচক ব্যাটিং কেউই করতে পারেননি। ১৪৬ রানে শেষ হয় কলকাতার ২০ ওভার।
এদিন মুম্বই কলকাতাকে শুধু হারালই না, বিনা যুদ্ধে জয় পেল। খেলার প্রথম থেকে শেষ, মাঠে একা মুম্বই তাদের দাপট বজায় রাখল। কলকাতাকে ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং ৩ বিভাগেই লজ্জাজনকভাবে পরাজিত করল মুম্বই।
কলকাতা যদি এই খেলা চালিয়ে যায় তাহলে তাদের এই প্রতিযোগিতায় শেষের দিকেই জায়গা হতে চলেছে। অন্তত এমনই মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞেরা।