সন্ধে নামার অপেক্ষা, জিততে মরিয়া কলকাতা নামছে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে
আর সামান্য সময়ের অপেক্ষা। তারপরই কলকাতা ও হায়দরাবাদের মধ্যে লড়াই শুরু। প্রথম ম্যাচে হারের পর এদিন ম্যাচ জিততে মরিয়া শাহরুখের ছেলেরা।
আবুধাবি : প্রথম ম্যাচে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে শোচনীয় হার হারতে হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। আইপিএল-এ তাদের প্রথম ম্যাচে হারের ইতিহাস কেকেআর-এর বড় একটা নেই। শুরুটা ভালই করে মেন ইন পার্পল। এবার মরু দেশে কেকেআর-কে হারিয়ে মুম্বই আবার ইতিহাস গড়েছে।
নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মরু দেশে টুর্নামেন্টের প্রথম জয়ের স্বাদ পেল তারা। প্রথম ম্যাচে লজ্জার হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে শনিবার মুখোমুখি কলকাতা ও হায়দরাবাদ। এই ম্যাচ জিততে মরিয়া দীনেশ কার্তিকের দল। ম্যাচ জিতে মনোবল ফেরত পেতে চাইছে তারা।
হায়দরাবাদেরও একই অবস্থা। তারাও প্রথম ম্যাচে হারের ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি। বিরাটের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স-এর কাছে হেরে তারেও এদিন জয়ে ফিরতে চাইছে। ফলে হায়দরাবাদও মাটি কামড়ে লড়াই দেবে।
২টি দলই প্রথম ম্যাচে হেরে থাকায় তারা জয়ের জন্য যাবতীয় রণনীতি নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে।
কলকাতার বড় সমস্যা তাদের ওপেনিং। ঝোড়ো ওপেনিংয়ের জন্য আদৌ শুভমান গিল তৈরি কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অন্যদিকে রাসেলের ব্যাটিং অর্ডারও প্রশ্নের মুখে। হয়তো তাঁকে এবার ৬ নম্বরে ব্যাট করতে দেখা নাও যেতে পারে।
বদল আসতে পারে বোলিং অর্ডারেও। কারণ সন্দীপ ওয়ারিয়র প্রথম ম্যাচে হতাশ করেছেন। মুম্বইয়ের ব্যাটিং রুখতে ব্যর্থ তিনি। বরং তুলনায় ভাল বোলিং করেন রাসেল। ফলে সন্দীপের জায়গায় আসতে পারে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ বা নগরকোটি।
কেকেআর-এর স্পিন আক্রমণের ২ প্রধান ভরসা নারিন ও কুলদীপ যাদব। প্রথম ম্যাচে এমন প্রথম সারির ২ স্পিনারও মুম্বইয়ের সামনে কিছু করে উঠতে পারেননি। ফলে তাঁদেরও আরও ঘষে মেজে নামাতে চাইছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
হাত গুটিয়ে বসে নেই হায়দরাবাদও। তাদের ব্যাটিংয়ের ওপেনিং দারুণ। ওয়ার্নার, বেয়ারস্টো-র মত ব্যাটিং রয়েছে তাদের শুরুতে। এছাড়া ভুবনেশ্বর কুমার, রশিদ খানের মত বোলার রয়েছে তাদের হাতে।
ফলে আবুধাবির মাঠে কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়বে না। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞেরা টসকেও এগিয়ে রাখছেন ম্যাচের সিদ্ধান্ত নির্ণায়ক হিসাবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা