দুরন্ত কামব্যাক, হায়দরাবাদকে দাঁড়াতেই দিল না কেকেআর
প্রথম ম্যাচে হারের পর যেভাবে ঘুরে দাঁড়ানো একটা ভাল দলের থেকে আশা করা যায় ঠিক সেটাই করে দেখাল কেকেআর। হায়দরাবাদকে দাঁড়াতেই দিল না তারা।
আবুধাবি : সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও কলকাতা নাইট রাইডার্স, ২টি দলের সামনেই শনিবারের ম্যাচ ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। কারণ ২টি দলই তাদের প্রথম ম্যাচ হেরেছে।
আবুধাবির মাঠে এদিন শেষ বিকেলের আলোয় টস জেতেন হায়দরাবাদের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। টস জিতে এদিন প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
হয়তো ভেবেছিলেন প্রথমে ব্যাট করেই সব দল জিতছে। তাই প্রথমে ব্যাট করা যাক। কারণ এখনও পর্যন্ত এবারের আইপিএল-এ যত ম্যাচ হয়েছিল তার সবকটিতেই প্রথমে ব্যাট করা দল জিতেছে।
ব্যাট করতে নামার পর কিন্তু কলকাতার বোলিং আক্রমণের মুখে পড়ে হায়দরাবাদ। বিশেষত প্যাট কামিন্সের বল এদিন খেলতেই পারছিলেননা ডেভিড ওয়ার্নার ও জনি বেয়ারস্টো।
প্রথম ম্যাচে কামিন্সের জঘন্য বোলিং ডুবিয়েছিল। কিন্তু এটাও মনে রাখার যে প্রথম ম্যাচের আগেই প্যাট কামিন্স ও ইয়ন মর্গান তাঁদের কোয়ারেন্টিন শেষ করেন। ফলে তাঁরা শারীরিকভাবে হয়তো প্রস্তুত ছিলেননা। প্রাকটিস পাননি। সরাসরি খেলায় নামতে হয়। যার প্রভাব খেলায় পড়ে।
এদিন কিন্তু একদম অন্য কামিন্স বা যে কামিন্সকে সকলে চেনেন সেই কামিন্স আবুধাবির পিচে ভয়ংকর হয়ে ওঠেন। বেয়ারস্টোর উইকেটও তুলে নেন তিনি।
ওয়ার্নার কিছুটা লড়াই দেওয়ার চেষ্টা করেন ঠিকই কিন্তু অচেনা স্পিনার বরুণ চক্রবর্তীর ঘূর্ণিতে পরাস্ত হন। ফেরেন প্যাভিলিয়নে। এরপর মণীশ পাণ্ডে ও ঋদ্ধিমান সাহা উইকেট কামড়ে কলকাতার বোলিং আক্রমণের সামনে লড়াই চালিয়ে যান ঠিকই, কিন্তু রানের গতি সেভাবে বাড়াতে পারেননি।
মণীশ অর্ধশতরানও করেন। ঋদ্ধিমান করেন ৩০ রান। সব মিলিয়ে হায়দরাবাদ ২০ ওভার খেলে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান তোলে। এদিন কলকাতার হয়ে ভাল বল করেন নগরকোটি।
১৪৩ তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই চালিয়ে খেলা শুরু করে কেকেআর। অবশ্য শূন্য রানে ফেরেন নারিন। শুভমান গিল ও নীতীশ রাণা হাল ধরেন ম্যাচের।
এরপর নীতীশ রাণার পরপর বাউন্ডারি পার কেকেআর-কে ক্রমশ শক্তিশালী জায়গা করে দেয়। চালাতে থাকেন শুভমানও। ১৩ বলে ২৬ রান করে ফেরেন নীতীশ। নামেন অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক। এসেই ফিরেও যান। শূন্য রানে ফেরেন তিনি।
এরপর শুভমান গিল ও ইয়ন মর্গান খেলার হাল ধরেন শুধু নয়, চালিয়ে খেলার রাস্তায় না হেঁটে জয়সূচক খেলার কৌশল নেন ২ জনে। প্রতি বলে ১ রানের কৌশলেই ক্রমশ জয়ের দিকে এগোতে থাকে খেলা।
বড় শট মানে আউট হওয়ার ঝুঁকি। সেই ঝুঁকি এড়িয়ে ক্রমশ জয়ের দিকে এগোনোর পাশাপাশি দুর্বল বল পেলে চারও হাঁকান ২ জনে। হাঁকান ছক্কাও। ফলে অল্প টোটালের টার্গেট দ্রুত পার করেন তাঁরা।
২ ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ জেতে কেকেআর। শুভমান শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে ৭০ রান করেন। মর্গান করেন ৪২ রান। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন শুভমান গিল।