দুবাইতে দ্বৈরথ, সঞ্জু, রাহুলদের আটকাতে রণনীতিতে জোর কলকাতার
নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে বুধবার মাঠে নামতে চলেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রতিপক্ষ ছন্দে থাকা রাজস্থান রয়্যালস।
দুবাই : আইপিএল সবে শুরু হয়েছে। এরমধ্যেই রাজস্থান রয়্যালস আইপিএল-এ ইতিহাস গড়ে ফেলেছে। আইপিএল-এ সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জিতেছে তারা। সঞ্জু স্যামসন, রাহুল তেওয়াটিয়া-র ব্যাটের সঙ্গে ঝড়ের তুলনা হচ্ছে। ব্যাট চালালেই বল পৌঁছে যাচ্ছে বাউন্ডারি পার।
দারুণ ছন্দে রয়েছেন রাজস্থানের অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। জোফ্রা আর্চারের মত বোলার রয়েছেন দলে। রয়েছেন বাটলারের মত ব্যাটসম্যান। সবচেয়ে বড় কথা মনোবলের দিক থেকে দলটা এখন ফুটছে।
শারজায় পরপর ২টি ম্যাচে তারা তাণ্ডব দেখিয়েছে। রাজস্থানের মত ঝোড়ো ব্যাটিং এখনও কোনও দল সেভাবে দেখাতে পারেনি। কিছুটা আগের দিন দেখিয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
কলকাতা আবার প্রথম ম্যাচে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে দুরন্ত কামব্যাক করেছে। ছন্দে ফিরেছেন প্যাট কামিন্স। ইয়ন মর্গানও ভাল খেলেছেন গত ম্যাচে। দলের এই ২ স্তম্ভের ছন্দে ফেরা অবশ্যই ভাল খবর। কিন্তু সুনীল নারিনের যে ঝোড়ো শুরু কলকাতাকে গত আইপিএল-এ অনেকটা এগিয়ে রাখছিল সেই নারিন এবার ২টি ম্যাচেই চরম ব্যর্থ।
কলকাতা ক্রিস লিনকে ছেড়ে দিয়েছে। ফলে শুরুটা ভোগাতে পারে কলকাতাকে। প্রথম ৬ ওভারের ফিল্ডিং রেস্ট্রিকশন যদি কাজে লাগিয়ে রান তুলে রাখতে হয় তাহলে সেখানে ওপেনিং জুটি শক্তিশালী হওয়া জরুরি। সেখানে শুভমান গিল গত ম্যাচে পাশ করলেও ডাহা ফেল করেছেন সুনীল। ফলে এটা কলকাতার একটা বড় চিন্তা।
প্রথম দুটি ম্যাচ আবার রাজস্থান খেলেছে শারজায়। শারজার মাঠ তুলনায় ছোট। অন্যদিকে কলকাতা খেলেছে আবুধাবিতে। আবুধাবির মাঠ আবার তুলনায় বড়। ২টি দলই এদিন প্রথম নামতে চলেছে দুবাইয়ের মাঠে। সেখানে শিশির একটা বড় সমস্যা। তাই ২ দলই ভিজে বলে বোলারদের অনুশীলনে জোর দিয়েছে।
কলকাতাকে যদি লিগ টেবিলে একটা জায়গায় পৌঁছতে হয় তাহলে এই ম্যাচ জিতে থাকা জরুরি। অন্যদিকে রাজস্থান চাইবে তাদের ছন্দ ধরে রাখতে ম্যাচটা জিতে নিতে।
কলকাতার বড় ভরসা আন্দ্রে রাসেল এদিন একটা বড় ভূমিকা পালন করতে পারেন। রাসেল ঝড় দুবাইয়ের মাঠে উঠলে কোনও প্রতিপক্ষই আর তাদের ছন্দ ধরে রাখতে পারবেনা। এখন কী হয় তা দেখার জন্য সামান্য সময়ের অপেক্ষা মাত্র। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা