দুরন্ত জয়, রাজস্থানকে দাঁড়াতেই দিল না কেকেআর
আইপিএল-এ তাদের দ্বিতীয় জয় পেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। দুবাইয়ের মাঠে রাজস্থান রয়্যালস-এর বিজয়রথ রুখে দিল শাহরুখের ছেলেরা।
দুবাই : রাজস্থান রয়্যালসকে ৩৭ রানে হারিয়ে দিল কেকেআর। একতরফা ম্যাচে সামান্য কিছু মুহুর্ত বাদ দিলে কলকাতার দাপট অব্যাহত ছিল। ২টি ম্যাচ পরপর জিতে আসা রাজস্থান এদিন একটা ঝোড়ো জয় পেতে গিয়ে আটকে গেল কলকাতার কাছে। কলকাতা ৩টে ম্যাচ খেলে ২টি জয় পেয়ে উঠে এল লিগ টেবিলের ২ নম্বরে।
রাজস্থান এবার আইপিএল-এর প্রথম ২টি ম্যাচই খেলেছে শারজায়। ছোট মাঠে খেলে বড় রানের অভ্যাস হয়েছে তাদের। গত ম্যাচে আইপিএল-এ ইতিহাস গড়েছে তারা। সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জিতেছিল স্মিথের দল।
অন্যদিকে আবুধাবির বড় মাঠে মুম্বইয়ের কাছে হারার পর হায়দরাবাদকে দাঁড় করিয়ে হারিয়েছে কলকাতা। এদিন ২টি দল খেলে দুবাইয়ের মাঠে। দুবাইয়ের মাঠ মানেই বিশাল মাঠ। সেটা এদিনের খেলার ভবিষ্যৎ স্থির করে দিল। খেলায় ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হন শিবম মাভি।
রাজস্থানের অধিনায়ক এদিন প্রথম ভুলটাই করেন টস জিতেও প্রথমে ব্যাট না করে। কারণ দুবাইয়ের মাঠে এর আগে যে ৫টি ম্যাচ হয়েছে তার একটিতেও পরে ব্যাট করে জয় পায়নি কোনও দল। এদিনও কলকাতার জয়ে সেই ইতিহাস অক্ষুণ্ণ রইল।
এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ফর্মে না থাকা নারিন নড়বড় করছিলেন। আউটও হন দ্রুত। কিন্তু শুভমান গিল ফের এদিন নিজের সেই নির্ভরযোগ্য ব্যাটিং চালিয়ে যান। নীতীশ রাণা কিছুটা লড়াই দেন। মাঠে নেমেই ফিরতে হয় অধিনায়ক দীনেশ কার্তিককে।
যাঁর দিকে গোটা দল থেকে আপামর অনুরাগীরা তাকিয়ে থাকেন সেই আন্দ্রে রাসেল এদিন চালাতে শুরু করলেও ক্যাচ তুলে ফেরত যান। তবে তার আগে ৩টি দুরন্ত ছক্কা হাঁকান। এখানে কলকাতা কিছুটা বেকায়দায় পড়ে যায়। তবে হাল ধরেন মর্গান ও কামিন্স।
২ জনে ৩ ওভারেই কলকাতাকে ফের খেলায় ফিরিয়ে আনেন। তবে কামিন্সকে ফিরতে হয়। মাভি কিছুটা লড়াই দেন। সব মিলিয়ে কলকাতা শুরুতে শুভমান গিল ও শেষে মর্গানের কাঁধে ভর করে ১৭৪ রান তোলে।
১৭৫ রান করতে হবে এই অবস্থায় ব্যাট করতে নামে রাজস্থান। ওপেন করতে নেমে নারিনের ওভারে প্রথমেই ১২ রান তোলে তারা। কিন্তু পরের ওভারে কামিন্সের বলে এলোপাথাড়ি মারার চেষ্টা করেন স্মিথ। ফলে শেষ বলে ধরা পড়ে যান উইকেটরক্ষক কার্তিকের হাতে।
রাজস্থানের বড় ভরসা সঞ্জু স্যামসনকে এদিন দ্রুত ফেরান মাভি। এরপর পরপর পরতে থাকে উইকেট। বাটলার কিছুটা লড়াই দিয়ে ফেরেন ২১ রান করে। ২ রান করে উত্থাপ্পা ও ১ রান করে পরাগ ফেরার পর রাজস্থানের স্কোর বোর্ড তখন ধুঁকছে। ৫ উইকেট হারিয়ে ৪২ রান করেছে দল।
গত ম্যাচের হিরো রাহুল তেওয়াটিয়া ও টম কুরান এরপর ক্রিজ কামড়ে লড়াই শুরু করেন। ততক্ষণে অবশ্য ম্যাচের ভাগ্য মোটামুটি পরিস্কার হয়ে গেছে। রাজস্থানের ব্যাটিং অর্ডারে ধস এই ম্যাচে রাজস্থানের ফেরার আসা ক্ষীণ করে দেয়।
রাহুলকে বোল্ড করে ফেরান ‘রহস্যময়’ বোলার হিসাবে পরিচিত হয়ে ওঠা স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী। এদিন রাজস্থানের মুখ রক্ষা করেন টম কুরান। একাই লড়াই চালিয়ে যান একদিকে দাঁড়িয়ে।
ম্যাচ শেষের আগের ওভারে সুনীল নারিনকে ৩টি ছক্কা হাঁকান কুরান। শেষ ওভারেও একটি ছক্কা আসে। সব মিলিয়ে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান করে রাজস্থান। টম কুরান ৫৪ রান করে অপরাজিত থাকেন।