চেন্নাইকে হারিয়ে কলকাতাকে জেতাল রাহুলের ব্যাট
রুদ্ধশ্বাস কয়েকটা ওভার। তাতে ম্যাচ জিতে নিল কেকেআর। কিন্তু এদিন কেকেআর জিতল না বলে বলা ভাল চেন্নাই হারল।
আবুধাবি : আবুধাবির পিচে বুধবারের সন্ধেটা অভিশপ্ত হয়ে রয়ে গেল মহেন্দ্র সিং ধোনির কাছে। নিশ্চিত জয় হাতে চলে আসা ম্যাচ মাত্র ২-৩ ওভারে হাত থেকে পিছলে গেল। এটা হয়তো ভাবতে পারেননি ধোনি।
বরুণ চক্রবর্তীর বলে ধোনির বোল্ড হয়ে ফেরা ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট বলা হচ্ছে। এটাও হয়তো বলা যেতে পারে যে ওয়াটসনের আউট ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। কিন্তু ধোনি ফেরার পরও ম্যাচ জেতা যায়। তাও হল না।
অন্যদিকে নিশ্চিত হারা ম্যাচে শেষ কয়েকটা ওভারে বরুণ, নারিন আর রাসেলের বল যাদু দেখাল। যা আটকে রাখল কেদার যাদব, রবীন্দর জাদেজাকে।
১০ রানে হারল চেন্নাই। ৮১ রান করে ব্যাটে বাঁচিয়ে দেওয়া রাহুল ত্রিপাঠী পেলেন ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ পুরস্কার। এদিন জিতে লিগ টেবিলে ৩ নম্বরে উঠে এল কেকেআর।
বুধবার টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন দীনেশ কার্তিক। এদিন দল অপরিবর্তিত রাখলেও ইনিংস ওপেন করতে সুনীল নারিনকে পাঠায়নি কেকেআর। সে জায়গায় গত ম্যাচে দারুণ ব্যাট করা রাহুল ত্রিপাঠী নামেন শুভমান গিলের সঙ্গে ব্যাট করতে।
এদিনও রাহুল ছন্দে ছিলেন। ব্যাট চলছিল আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে। বরং শুভমান প্রথম থেকেই ছন্দে ছিলেন বলে মনে হচ্ছিল না। আউট হয়ে দ্রুত ফেরেন শুভমান। নামেন নীতীশ রাণা।
নীতীশের ব্যাটও এদিন সেভাবে কথা বলতে পারেনি। রানের খোঁজে ক্যাচ তুলে ফেরেন নীতীশ। এরপর কিছুটা চমক দিয়েই নামানো হয় সুনীল নারিনকে।
সুনীল নারিনকে পরে না নামিয়ে তখন নামিয়ে কিছু রান ঘরে তুলে রাখতে চাইছিল কেকেআর। আর আউট হলেও ক্ষতি নেই। নারিন ১৯ রান করার পর একটি ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে দুরন্ত ক্যাচে ধরা পড়ে যান বাউন্ডারি লাইনে।
নারিনের পর মর্গান ও কেকেআর-এর বড় ভরসা রাসেল ফেরেন দ্রুত। ২ জনই ব্যাটের খোঁচায় বল তুলে দেন ধোনির হাতে। মাঠে নামেন দীনেশ।
অধিনায়ককে এই পরিস্থিতিতে খেলে দিতে হত। কিন্তু এদিনও ব্যর্থ দীনেশ কার্তিক। এদিন কেকেআর-কে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন একা রাহুল ত্রিপাঠী। কিন্তু ৮১ রানের মাথায় রাহুলকে ফিরতে হয়।
এরপর দীনেশ আউট হন। শেষ ওভারে ব্রাভো ৩ উইকেট তুলে নিয়ে কেকেআর-এর ১৭০ রানের ওপর স্কোর খাড়া করার চেষ্টা ধুলোয় মিশিয়ে দেন।
১৬৬ রানে শেষে করে কেকেআর। ১৬৭ রান করলে জিতবে এই অবস্থায় ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকেই চালাতে শুরু করেন ফাফ ডু প্লেসি। কিন্তু মাভির বলে খোঁচা মেরে দীনেশের হাতে ক্যাচ তুলে ফেরেন ডু প্লেসি।
ওয়াটসনের সঙ্গে খেলতে মাঠে নামেন আম্বাতি রাইডু। রাইডু ও ওয়াটসনের ব্যাট চলতে থাকে। উঠতে থাকে রান। ক্রমশ জয়ের দিকে এগোতে থাকে চেন্নাই। একটা সময় এটা পরিস্কার হয়ে যায় যে এই ম্যাচ চেন্নাইয়ের জেতা শুধু সময়ের অপেক্ষা। এখানেই ৩০ রান করে ফেরেন রাইডু।
ওয়াটসনের ব্যাট কিন্তু চলতে থাকে। এরপর ম্যাচে প্রথম কেকেআর ধাক্কাটা দেয় ওয়াটসনকে ফিরিয়ে। তারপরই বরুণের ঘূর্ণি মহেন্দ্র সিং ধোনির ছক্কা হাঁকানোর চেষ্টা ব্যর্থ করে মিডল স্ট্যাম্প ভেঙে দেয়। এখানেই শেষ হয় খেলা। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি চেন্নাই।
এদিন হারের পর চেন্নাই ৬ ম্যাচ খেলে ৪টে হারল। কলকাতা ৫ ম্যাচ খেলে ৩টে জিতল।