বিরাটের কাছে গোহারান হারল কেকেআর
একটু বেশি রান তাড়া করতে হলেই যে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলটার আসল অবস্থা সামনে এসে পড়ে তা পরিস্কার হয়ে গেল সোমবার। গোহারান হারল শাহরুখের ছেলেরা।
শারজা : আগের ২টো ম্যাচ জিতেছিল নেহাতই ভাগ্যের জোরে। চেন্নাই ও পঞ্জাবের বিরুদ্ধে কেকেআর ২টো জিতেছিল বটে, তবে সে ২টো ম্যাচ তারা জিতেছিল না বলে চেন্নাই ও পঞ্জাব ম্যাচ হেরেছিল বলাটা বোধহয় সঠিক হবে।
কলকাতা দলটার অন্তঃসার শূন্য দশা এদিন সকলের সামনে পরিস্কার করে দিল বিরাটবাহিনী। এজন্য খুব একটা লড়তে হয়নি তাদের। কলকাতার বোলিংয়ের দুর্দশা সকলের সামনে পরিস্কার করে দিয়েছে ডেভিলিয়ার্সের ব্যাট। আর ব্যাটিংয়ের দুর্দশা সামনে এনে দিয়েছেন বিরাটবাহিনীর বোলাররা।
টস জিতে এদিন প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বিরাট কোহলি। প্রথমে ভাল ব্যাটিং করেন তাঁরা। তবে মাঝে ৬ থেকে ১৫ ওভার একটু ধীরে রান তোলেন তাঁরা। তারপর ১৫ ওভার পার করতেই শুরু হয় বিধ্বংসী ব্যাটিং।
ডেভিলিয়ার্স ছক্কার মালা পরান। অন্যদিকে বিরাটের ব্যাটও চলতে থাকে। ২০ ওভারের শেষে ২ উইকেট হারিয়ে বেঙ্গালুরু তোলে ১৯৪ রান, যার মধ্যে ডেভিলিয়ার্সের ৩৩ বলে ৭৩ রানের একটা ঝোড়ো ইনিংস রয়েছে। বিরাট করেন ৩৩ রান।
১৯৫ তাড়া করতে নামে কেকেআর। শারজার ছোট মাঠে নেমে পর্যন্ত কলকাতার ব্যাটিং নড়বড় করতে থাকে। ১৯৫ তাড়া করতে হবে দেখেই দল যে প্রায় হেরেই মাঠে নেমেছে তা মোটামুটি ব্যাটিংয়ের ধরণ দেখেই পরিস্কার হচ্ছিল।
কেউই বিরাটদের বোলিং আক্রমণের সামনে দাঁড়াতে পারেননি। ফল এক এক করে উইকেট পতন। ৬৪ রানের মধ্যেই ৫ উইকেট হারায় কলকাতা।
একটু বেশি রান তাড়া করতে হলেই যে কলকাতা দলটার জঘন্য পরিস্থিতি সামনে উঠে আসে তা এদিন ফের প্রমাণ হল। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি অধিনায়ক দীনেশ কার্তিকের। পঞ্জাবের ম্যাচটা বাদ দিলে তাঁর ব্যাট থেকে কলকাতার কোনও লাভ হয়নি।
এদিন সুনীল নারিনকে বসিয়ে দেয় কলকাতা। এখানেই প্রশ্ন উঠছে যে নারিন তো তবু বল করে তাঁর কাজটা করছিলেন। দীনেশ ব্যাটে কী দিচ্ছেন? শুধুই ব্যর্থতা।
দল বেকায়দায় থাকলে অধিনায়ক রুখে দাঁড়ান। এখানে সে সম্ভাবনা নেই। ফলে দীনেশকে কেন দলে রাখা হচ্ছে সে প্রশ্ন ফের এদিন উঠেছে। কেন দীনেশকে বসিয়ে দিয়ে মর্গানের হাতে অধিনায়কত্ব তুলে দেওয়া হচ্ছেনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
এদিন দিনের শেষে কলকাতা ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে করে ১১২ রান। হারে ৮২ রানে। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হন এবি ডেভিলিয়ার্স।