মুম্বইয়ের কাছে লজ্জার হার হারল কেকেআর
নতুন অধিনায়কও বাঁচাতে পারলেন না দলকে। মুম্বইয়ের কাছে ফিরতি ম্যাচেও লজ্জার হার হারল কলকাতা। লিগ টেবিলে কলকাতার নিচে নামা শুরু হয়ে গেল।
আবুধাবি : দীনেশ কার্তিক অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন মুম্বই ম্যাচের আগেই। দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব বর্তায় গিয়ে ইংল্যান্ডের বিশ্বজয়ী দলের অধিনায়ক ইয়ন মর্গানের হাতে। কিন্তু দল যদি দুর্বল হয়। খেলোয়াড়দের যদি যৎসামান্য লড়াকু মানসিকতাটাও না থাকে তাহলে মর্গানের পক্ষেও যে দলকে বাঁচানো সম্ভব নয় তা এদিন ফের একবার প্রমাণ হল।
মুম্বইয়ের কাছে লজ্জাজনক হার হারল কলকাতা। ৩ ওভারের ওপর বাকি থাকতেই ৮ উইকেটে খেলা জিতে নেয় মুম্বই। ম্যাচের সেরা হন কুইন্টন ডি কক।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন মর্গান। কিন্তু নেমে থেকেই নড়বড় করতে থাকে কলকাতার ব্যাট। রাহুল ত্রিপাঠী, নীতীশ রাণা, শুভমান গিলরা খুব দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফেরার পরও হয়তো দলকে বাঁচানো যেত। যদি দীনেশ কার্তিক খেলতে পারতেন তখন।
দীনেশ অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন ব্যাটে মন দিতে চান এই যুক্তি দেখিয়ে। সেই ভাল ব্যাটের নমুনা অবশ্য এদিনও দেখতে পাওয়া গেছে। কোনও দিনই দলকে রান দিতে পারছেন না দীনেশ। একটি ম্যাচ বাদ দিয়ে শোচনীয় রান করেছেন কার্তিক।
কলকাতার ব্যাটিংয়ে এখনও বড় ভরসা রাসেল এদিনও ব্যর্থ। অবশেষে তলানিতে ঠেকা রানকে কিছুটা হলেও ঘুরিয়ে দাঁড় করান অধিনায়ক মর্গান ও প্যাট কামিন্স।
এদিন বিধ্বংসী ছিলেন প্যাট। করেন ৫৩ রান। জীবনের প্রথম টি-২০ অর্ধশতরানও করেন তিনি। মর্গানও শেষ পর্যন্ত টিকে থাকেন। ১৪৮ রানে ২০ ওভার শেষ করে কলকাতা।
অত্যন্ত ছোট স্কোর তাড়া করতে নেমে এদিন শুরু থেকেই মুম্বই ছিল বিধ্বংসী চেহারায়। অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও কুইন্টন ডি কক-এর ব্যাট শুরু থেকেই প্রহার করতে থাকে বোলারদের।
রোহিত যখন মাভির বলে ফেরেন তখন খেলা মু্ম্বইয়ের হাতের মুঠোয়। কেবল জয়ে পৌঁছনোর অপেক্ষা। রোহিতের পর দ্রুত ফেরেন সূর্যকুমার। রোহিত করেন ৩৫ রান। সূর্যকুমার ১০ রান। বাকি থাকা রানটা এরপর কুইন্টন হার্দিককে সঙ্গে করে তুলে নেন।
কুইন্টন করেন অপরাজিত ৭৮ রান। হার্দিক ছোট্ট ২১ রানের ইনিংসে ৩টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকান। কলকাতা এদিন ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং কোনও বিভাগেই মুম্বইয়ের ধারে কাছে আসতে পারেনি।