ব্যাটিং চিন্তা নিয়েই হায়দরাবাদকে হারাতে মরিয়া কেকেআর
ব্যাটিংয়ের দুর্দশা বারবার কেকেআর-এর ম্যাচে প্রকাশ পাচ্ছে। কেউই ঠিক ফর্মে নেই। এই অবস্থায় দুপুরে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ফিরতি ম্যাচে নামছে কেকেআর।
আবুধাবি : শেষ ২টো ম্যাচে শোচনীয় হার হেরেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তার আগের ২টো জিতলেও সেখানে কেকেআর জিতেছে না বলে প্রতিপক্ষ হেরেছে বলাই ভাল।
ফলে কেকেআর যে ভাল কোনও পারফরমেন্স দেখাতে পারছে তা নয়। বরং তাদের ব্যাটিংয়ের দুর্দশা বারবার প্রকাশ্যে আসছে। এই অবস্থার মধ্যেই রবিবার দুপুরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ-এর বিরুদ্ধে মাঠে নামছেন শাহরুখের ছেলেরা।
কেকেআর শুধু হারছেই না, নানা সমস্যায় জর্জরিত। অধিনায়ক মাঝপথেই বদল হয়েছে। কার্তিক অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন নিজের ব্যাটিংয়ে মন দেবেন বলে জানিয়ে। মর্গান এখন দলের দায়িত্বে।
তাতেও গত ম্যাচে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই পারেনি কলকাতা। ব্যাটিং যে নেই তেমনটা নয়। শুভমান গিল, রাহুল ত্রিপাঠী, নীতীশ রাণা, দীনেশ কার্তিক, ইয়ন মর্গান, আন্দ্রে রাসেল, প্যাট কামিন্স।
২০ ওভারের ম্যাচে ৭ জনের ব্যাটিং শক্তি নিয়ে মাঠে নামছে দল। কিন্তু কেউই তাঁর ব্যাটিং ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারছেন না। রাসেল, কার্তিক তো সম্পূর্ণ ব্যর্থ। এত লম্বা ব্যাটিং নিয়েও দল নড়বড় করছে। ব্যাটিং নড়বড় করছে।
হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ সহজে জিতেছে কলকাতা। কিন্তু এখন দলের যা পরিস্থিতি তাতে ভরসা পাচ্ছেন না অনেকেই। এমনিতেই ২টি পরপর হার কলকাতাকে চাপে রেখেছে। এই ম্যাচ না জিতলে প্রথম চারে থেকে যাওয়া আরও চাপের হয়ে দাঁড়াবে।
ফিল্ডিংয়েও দুর্বলতা বারবার ধরা পড়ছে। ব্যাট থেকে বড় রানের চেষ্টা করছেন সকলে। ১-২ রান করে নেওয়ার প্রবণতা কলকাতার কম। যা রানের মিটার চালু রাখাকে থমকে দিচ্ছে।
হায়দরাবাদের বরং ব্যাটিং গভীরতা কম। তাদের ৩ বড় ভরসা ডেভিড ওয়ার্নার, জনি বেয়ারস্টো এবং কেন উইলিয়ামসন। কিছুটা খেলে দিচ্ছেন মণীশ পাণ্ডেও। এই ৪টি ব্যাটের গতি থামাতে পারলে ম্যাচ জেতা সহজ হবে এদিন। কম রানে থমকে যেতে পারে হায়দরাবাদ।
হায়দরাবাদের বোলিংও যে খুব ভাল হচ্ছে তা নয়। সে তুলনায় কলকাতার বোলিংও শক্তিশালী। যদিও বড় ভরসা প্যাট কামিন্স তেমন কিছু চোখ ধাঁধানো বোলিং করতে পারেননি। বরং রান দিচ্ছে।
তুলনায় বরুণ চক্রবর্তীর স্পিন প্রতিপক্ষকে ভোগাচ্ছে। সব মিলিয়ে ২টি দলই যে খুব ছন্দে আছে তা নয়। কলকাতাকে জিততে গেলে ব্যাটিং শুধরে নিতে হবে দ্রুত। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা