লজ্জার হার হারল কেকেআর
বিরাটদের কাছে ফিরতি ম্যাচেও হারল কেকেআর। একতরফা ম্যাচে জিতলেন বিরাটরা। জিততে তেমন কোনও পরিশ্রমও করতে হয়নি বিরাটদের।
আবুধাবি : এ যেন হেরেই খেলতে নামা। খেলাটা নিয়মরক্ষা মাত্র। কলকাতা নাইট রাইডার্সকে দেখে সেটাই বুধবার মনে হয়েছে সকলের। সেই নিয়মরক্ষার ম্যাচে লজ্জার হার হারল কেকেআর। ৩৯ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেন বিরাটরা। তাও মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে।
এদিনের বড় জয় বিরাটদের রান রেটকেও অনেকটা তুলে দিল। অন্যদিকে ৮৪ রানে গুটিয়ে যাওয়া কেকেআর-এর রান রেট আরও খারাপ জায়গায় গিয়ে পৌঁছল। এত খারাপ ম্যাচ এই আইপিএল-এ হয়নি।
টস জিতে এদিন প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় কেকেআর। দারুণ হাওয়া বওয়া বিকেলের বল কিন্তু প্রথম থেকে সুইং নিচ্ছিল। এদিন ব্যাট করতে নেমেই মুখ থুবড়ে পড়ে কেকেআর। ফিরতে থাকেন রাহুল ত্রিপাঠী, নীতীশ রাণা, শুভমান গিল, টম ব্যান্টন।
৩ ওভার ৩ বলে ১৪ রান করে ৪ উইকেট হারানোর পর খেলাটা কার্যত নিয়মরক্ষায় গিয়ে পৌঁছে যায়। এদিন পাওয়ার প্লে-তে ১৭ রান করে কলকাতা। যা এখনও পর্যন্ত আইপিএল-এ সবচেয়ে কম রান পাওয়ার প্লে-তে।
দীনেশ কার্তিক এদিনও ব্যর্থ। ৪ রানে আউট হন কলকাতার পূর্বতন অধিনায়ক। রাসেলকে এদিন বসায় কেকেআর। প্রশ্ন উঠছে তাহলে দীনেশ কী করে এখনও দলে থেকে যান?
ইয়ন মর্গান এদিন অধিনায়ক হিসাবেই খেলেন। কিছু কিছু করে রান তুলতে থাকেন। মর্গান ৩০, ফার্গুসন ১৯ এবং কুলদীপ যাদব ১২ রান করে দলকে ৮৪ রানে তুলে নিয়ে যান। ৮৫ রান করলে জিতবে এই অবস্থায় খেলতে নামে বেঙ্গালুরু।
অনায়াসেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আরসিবি। ২টি উইকেট হারায় তারা। ফিঞ্চ ফেরেন ১৬ রান করে ও পাড়িক্কল ২৫ রান করে ফেরেন। গুরকিরত সিংয়ের ২১ রান ও বিরাট কোহলির ১৮ রানে ভর করে ৩৯ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জেতে তারা। এত বল বাকি থাকতেই ম্যাচে জয় পাওয়াও এই আইপিএল-এ রেকর্ড।
এই হারের জেরে কলকাতার যেমন প্লে অফ নিয়ে চিন্তা বাড়ল। তেমনই বিরাটরা ৪ ম্যাচ বাকি থাকতেই ১৪ পয়েন্টে পৌঁছে গেলেন। আর একটা ম্যাচ জিতলেই প্লে অফের টিকিট তাঁদের পাকা হয়ে যাবে।