পঞ্জাবের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে হারল কলকাতা
কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে লজ্জার হার হারল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ফলে কলকাতার প্লে অফে জায়গা করে নেওয়া আরও কঠিন হল।
শারজা : এদিন কলকাতা জিতলে তারা প্লে অফে জায়গা করে নিতে পারত। অন্যদিকে পঞ্জাব হারলে তারা প্লে অফ থেকে অনেক দূরে চলে যেত।
কলকাতার জন্য জয়ের দরকার ছিল এই ম্যাচে কারণ সেক্ষেত্রে তারা ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্লে অফের জন্য অনেকটা নিশ্চয়তার দিকে এগোতে পারত। কিন্তু বাস্তবে লজ্জার হার হারল কেকেআর। আগের দিন বরুণ চক্রবর্তী ত্রাতা হলেও এদিন তিনি বিশেষ কিছু করতে পারেননি।
শারজায় কলকাতা একটা ম্যাচও জিততে পারেনি। এদিন টস হারে কলকাতা। টস জিতে কলকাতাকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় পঞ্জাব। আর খেলা শুরুর ৩ ওভারের মধ্যই পরিস্কার হয়ে যায় খেলার ফলাফল কি হতে চলেছে।
এদিন পরপর ৩ উইকেট হারায় কলকাতা। যদিও এই অবস্থা থেকে খেলাকে বার করার জন্য দারুণ ব্যাটিং শুরু করে মর্গান ও শুভমান গিল জুটি।
১০-এর ওপর প্রতি ওভার রান রেটকে ধরে রাখেন তাঁরা। এমন করে ১০ ওভার কাটার পর মর্গান হঠকারী শটে আউট হন। যে অবস্থায় কলকাতার উইকেট দেওয়ার পরিস্থিতি ছিলনা। মর্গানের উইকেট এদিন খেলার ভাগ্য একদম পরিস্কার করে দেয়।
এরপর এক এক করে ব্যাটসম্যান নেমেছেন আর আউট হয়ে ফেরত গেছেন। দিনের শেষে কলকাতা ১৪৯ রান করতে পারে।
খুব অল্প রান তাড়া করতে নেমেও আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে পঞ্জাব। কেএল রাহুলের উইকেট নেন বরুণ। এরপর ক্রিস গেইলের ব্যাট চলতে থাকে। দারুণ ব্যাটিং করেন মনদীপ সিং।
প্রায় খেলার শেষ প্রান্তে পৌঁছে ক্রিস গেইল আউট হয়ে ফিরলেও তখন জয় ছিল কেবল সময়ের অপেক্ষা। পঞ্জাব ২ উইকেট হারিয়ে খেলা জেতে ৮ উইকেটে। ম্যাচের সেরা হন ক্রিস গেইল।
কিংসের এই নিয়ে টানা ৫ ম্যাচে জয় এল। বাকি আর ২টি ম্যাচ। সে ২টি জিততে পারলেই তারা পৌঁছে যাবে প্লে অফে। কলকাতাকেও প্লে অফে পৌঁছতে গেলে বাকি ২টি ম্যাচই জিততে হবে।
১৪ পয়েন্টে পেয়েও একটি দল প্লে অফের যোগ্যতা অর্জন করলেও করতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে তার আগে অনেক অঙ্ক মিলতে হবে। যা এই সপ্তাহেই পরিস্কার হয়ে যাবে।