Sports

ফার্গুসনের জঘন্য বোলিংয়ে লজ্জার হার কলকাতার

একা ফার্গুসনের দুর্বল বোলিং হারিয়ে দিল কলকাতাকে। তার সঙ্গে বলা ভাল কলকাতার প্লে অফে যাওয়ার আশাও প্রায় শেষ হয়ে গেল এক ম্যাচ বাকি থাকতে।

দুবাই : লজ্জার হার হারল কলকাতা। তবে ব্যাটিং এক রকম হয়েছিল। বোলিংয়ে বরুণ চক্রবর্তী দারুণ স্পেল করেন। প্যাট কামিন্স সঠিক সময়ে জ্বলে ওঠেন। নারিনও রান আটকে রেখেছিলেন। কিন্তু যখন ১২ বলে ৩০ রান দরকার ছিল চেন্নাইয়ের তখনই ভয়ংকর খারাপ একটা ওভার করলেন ফার্গুসন।

এক ওভারে ২০ রান দিয়ে কার্যত এদিন চেন্নাইকে ম্যাচ উপহার দিল ফার্গুসনের জঘন্য বোলিং। এদিনের হারের পর কলকাতার প্লে অফে যাওয়ার আশা কার্যত এখানেই শেষ।


টস জিতে এদিন কলকাতাকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান চেন্নাইয়ের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালই করে কলকাতা।

কলকাতা পাওয়ার প্লে-তে রান রেট টেনে তুলতে পারেনা বা প্রথমেই উইকেট হারায়। এমন একটা ধারণা তারা তাদের পারফরমেন্স দিয়েই তৈরি করতে পেরেছে। এদিন তা কিছুটা হলেও ভাঙতে পারেন শুভমান গিল ও নীতীশ রাণা।


তবে রান রেট শুরুতে ভাল থাকলেও ক্রমশ তা নামতে থাকে। শুভমান ফিরলে নারিন আসেন। কিন্তু ব্যর্থ হন। তারপর নামেন রিঙ্কু সিং। তিনিও ব্যর্থ।

পরে অধিনায়ক মর্গান নেমে নীতীশ রাণাকে সঙ্গ দিতে শুরু করেন। নীতীশের ব্যাট কথা বলতে শুরু করে। কলকাতার রানের চাকা দ্রুত ঘুরতে থাকে।

নীতীশ এদিন করেন ৮৭ রান। মর্গান ১৫ রান করে ফেরেন। দীনেশ কার্তিক শেষের দিকে নেমে ২১ রান করেন। সব মিলিয়ে কলকাতা ১৭২ রান করে ২০ ওভারে।

১৭৩ রান করতে হবে দুবাইয়ের মাঠে। চ্যালেঞ্জটা নেহাতই সোজা ছিলনা। ব্যাট করতে নামার পর কিন্তু চেন্নাইয়ের ব্যাটসম্যানদের দেখে মনে হয়নি তাঁরা চাপে রয়েছেন। বরং খুব সহজেই তাঁরা রান তুলতে থাকেন।

কলকাতার বোলাররা বুঝেই উঠতে পারছিলেন না কীভাবে চেন্নাইয়ের ব্যাটকে ঠান্ডা করবেন। সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের ব্যাটিং। শেন ওয়াটসন অবশ্য এদিন ১৪ রান করে ফেরেন।

আম্বাতি রাইডু একটা ঝোড়ো ইনিংস খেলে ৩৮ রান করে আউট হন। এদিন মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ফের বোল্ড করে ফেরান বরুণ চক্রবর্তী। বরুণ তাঁর নিজের ফর্ম ধরে রেখেছেন এদিনও।

৪ ওভার বল করে ২০ রান দিয়ে ২ উইকেট তোলেন বরুণ। তবে আরও ১ উইকেট বেশি হতেই পারত। কিন্তু হাতে পাওয়া ক্যাচ ফস্কান তিনি।

কলকাতার বড় ভরসা লকি ফার্গুসন এদিন কিন্তু অনেক রান দিয়ে যান। নারিন ৪ ওভারে ২৩ রান দেন। কলকাতার পেস আক্রমণ এদিন রান দিয়েই গেছে। তারপরেও খেলা এক সময় হাতের মুঠোয় এসেও গিয়েছিল কলকাতার।

১২ বলে দরকার ছিল ৩০ রানের। এখানেই বল করতে এসে ৬ বলে ২০ রান দিয়ে চেন্নাইয়ের হাতে কার্যত ম্যাচটা তুলে দেন ফার্গুসন। এদিন শেষ বলে ম্যাচ জিতে নেয় চেন্নাই।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button