ফাঁকা মাঠেও দর্শকের গর্জনে খামতি হল না, না থেকেও হাজির চিয়ার লিডাররা
মাঠ ফাঁকা। তবু দর্শকদের উৎসাহ থেকে বঞ্চিত হলেন না আইপিএল-এর প্রথম ম্যাচে খেলতে নামা ক্রিকেটাররা। চিয়ার লিডাররাও উৎসাহ দিলেন তাঁদের মত করেই। তবে মাঠে না থেকে।
আবুধাবি : এ যেন ভোজবাজি। মাঠে ম্যাজিক। করোনার জন্য ফাঁকা মাঠে খেলা খেলোয়াড়দের জন্য কতটা আনন্দদায়ক হবে তা নিয়ে চিন্তা ছিল। চিন্তা ছিল তাঁদের কে উৎসাহ দেবে তা নিয়েও। কারণ ম্যাচে মাঠ জুড়ে দর্শকদের চিৎকার মাঠে খেলা খেলোয়াড়দের বাড়তি উৎসাহ যোগায়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে দর্শকদের মাঠে ঢোকানো যাবে না। ফাঁকা গ্যালারিতেই খেলা হবে। মাঠে কেবল থাকবেন খেলোয়াড়েরা। আর মাঠের চারধারে আধিকারিক ও ২ দলের পুরো টিম। কিন্তু তাতে কী আইপিএল জমবে? এ কথা মাথায় রেখে আয়োজকদের উদ্ভাবনী ভাবনায় এক অভিনব অভিজ্ঞতার সাক্ষী হলেন খেলোয়াড়েরা।
সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর ৩টি মাঠে এবার খেলা হবে আইপিএল। যা শনিবার থেকে শুরু হল। প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও চেন্নাই সুপার কিংস। ম্যাচ শুরুর আগে কোভিড ফ্রন্টলাইন ওয়ারিয়রদের অভিনন্দন জানায় বিসিসিআই। তারপর খেলা শুরু হতেই দর্শকদের চিৎকারে মুখরিত হয়ে ওঠে চারধার। কিন্তু মাঠে তো দর্শক নেই। ফাঁকা গ্যালারি। তাহলে এমন হাজারো দর্শকের সেই চেনা গর্জন শোনা যাচ্ছে কোথা থেকে?
আসলে এবার আইপিএল-এর প্রতিটি ম্যাচেই এই ব্যবস্থা রেখেছে বিসিসিআই। দর্শক না থাকলেও ভার্চুয়াল চিৎকারে মুখরিত হবে মাঠ। ভাল শট, আউট, চার, ছক্কা বা হতাশা, মাঠে দর্শকরা যে যে অনুভূতি যেভাবে ব্যক্ত করে থাকেন সেই আওয়াজ শোনা যাবে সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে। হলও তাই। মুম্বই বনাম চেন্নাই ম্যাচে সেই ভার্চুয়াল দর্শক সারাক্ষণ চিৎকার করে গেল মাঠে।
শুধুই কি ভার্চুয়াল দর্শক! আইপিএল-এ আউট হোক বা ছক্কা বা চার, সবেতেই নজর কাড়ে দলের সমর্থনে সুন্দরী চিয়ার লিডারদের নাচ। এবার করোনার জন্য তাঁরাও নেই। কিন্তু না থেকেও তাঁরা সম্পূর্ণ ম্যাচ জুড়েই রইলেন।
দল ভাল কিছু করলেই তাঁরা যেমন নাচেন, তেমনই নাচলেন। তবে সশরীরে নয়, জায়ান্ট স্ক্রিনে। কিন্তু চিয়ার লিডারদের সেই উৎসাহ দান থেকে বঞ্চিত হলেন না ক্রিকেটাররা।
এবার করোনা গোটা পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে। কিন্তু আইপিএল তো শুধু ক্রিকেট নয়। বিনোদনও বটে। কাটছাঁটে বিনোদনটা পুরোপুরি ঢাকা পড়লে আর রইলটা কী! তাই এবার সব অভ্যাসকে ভার্চুয়ালি উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছে বিসিসিআই। একেবারেই না পাওয়ার চেয়ে দুধের স্বাদ ঘোলে তো মিটল। এটাই বা কম কী! — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা