কানে মোবাইল নিয়ে রাস্তায় হাঁটাচলা করতে বারবার মানা করে জনসচেতনতা বৃদ্ধির সবরকম চেষ্টা চলে। ট্রেনলাইনে মোবাইল কানে নৈব নৈব চ। একথাও বারবার প্রচার করা হয়। কানে মোবাইল নিয়ে রেললাইন পার হতে গিয়ে মৃত্যুর খবরও বিভিন্ন সময়ে সামনে এসেছে। তবু হুঁশ ফেরেনি কিছু মানুষের। যার জলজ্যান্ত উদাহরণের সাক্ষী থাকলেন খড়দহ স্টেশনের কাছের বাসিন্দারা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, গত মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ খড়দহ স্টেশনের কাছের লেভেল ক্রসিং হেঁটেই পার হচ্ছিলেন দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সোহম মিত্র। কানে ছিল মোবাইল। বেখেয়াল অবস্থায় মোবাইলে বিভোর হয়ে রেললাইন পার হতে গিয়ে আসানসোল-হাওড়া ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে কাটা পড়েন সোহম। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। ট্রেনলাইনের মাঝে পড়ে থাকে তাঁর দেহ। চারপাশে লোকজনের ভিড় জমে যায়।
স্থানীয়দের দাবি, এরপর দেহ ওই অবস্থাতেই পড়ে থাকে। দেহ তোলার কথা রেল পুলিশের। কিন্তু তারা দেহ উদ্ধারে গা করেননি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এই অবস্থায় ২ লাইনের মাঝে পড়ে থাকা দেহের ওপর দিয়েই কয়েকটি ট্রেন যাতায়াত করে ফেলে। প্রায় ঘণ্টাখানেক পড়ে থাকার পর দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় জিআরপি। দুর্ঘটনার পর ব্যস্ত সময়ে জনবহুল এলাকায় রেললাইনে ট্রেনে কাটা পড়া ব্যক্তির দেহ এতক্ষণ পড়ে থাকায় হতবাক এলাকার মানুষজন।