বিজয়াদশমীর দিন ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল অন্তত ৫০ জনের। রাবণ দহন অনুষ্ঠান চলাকালীন দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রচুর মানুষ রেললাইনের ওপর দাঁড়িয়ে রাবণ দহন দেখছিলেন। সেই সময় পঞ্জাবের পাঠানকোট থেকে অমৃতসরগামী একটি ট্রেন লাইনের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলিকে পিষে দিয়ে চলে যায়। রেললাইনের ওপর এত মানুষ দাঁড়িয়ে থাকা সত্ত্বেও কেন ট্রেনটি অপেক্ষা করল না তা এখনও পর্যন্ত পরিস্কার নয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঘটনার সময় রাবণ দহন চলছিল। আতসবাজি পুড়ছিল পুরোমাত্রায়। প্রায় ৭০০ দর্শকের অনেকেই তখন আগুনের শিখা ও বাজির ছিটকে আসা টুকরো থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকতে রেললাইনের ওপর এসে দাঁড়ান। কিন্তু হঠাৎ করেই ট্রেনটি এসে পরে। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। প্ৰত্যক্ষদর্শীদের দাবি, রেললাইনের ওপর বিপুল সংখ্যক জনসমাগম দেখেও ট্রেনটি কোনও হুটার বাজায়নি। ঘটনায় মৃতে সংখ্যা ১০০ ছাড়াতে পারে বালে আশঙ্কা করছেন সেই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজনেরা। মৃতদের মধ্যে প্রচুর শিশু থাকার সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন তাঁরা।
ঘটনার খবর পাওয়ার পর পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং তাঁর বিদেশ যাত্রা বাতিল করেছেন। স্থানীয় মন্ত্রী ও প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্যোৎ সিং সিধু আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে মৃতের সংখ্যা ভয়াবহ মাত্রা ছুঁতে পারে। ঘটনাক্রমে, যে রাবণ দহন অনুষ্ঠান চলাকালীন এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, সেই অনুষ্ঠানে প্ৰধান অতিথি ছিলেন সিধুর স্ত্রী নভজ্যোৎ কর। এদিনের ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)