মঙ্গলবার সন্ধেয় এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতার সাক্ষী হলেন সে সময়ে সাঁতরাগাছি স্টেশনে উপস্থিত মানুষজন। সন্ধে ৭টার পর একসঙ্গে ৩টি ট্রেন ঢোকার ঘোষণা হয় স্টেশনে। খুব স্বাভাবিকভাবে ট্রেন ধরার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। একটি মাত্র ফুট ব্রিজ ধরে ৩টি ট্রেন ধরতে চাওয়া মানুষ ধাক্কাধাক্কি করে নিজের প্ল্যাটফর্মে পৌঁছনোর চেষ্টা করেন। শুরু হয় অমানুষিক ধাক্কাধাক্কি। এরমধ্যেই হাতাহাতি, গালমন্দও শুরু হয়। উত্তেজনা চরমে ওঠে। এদিকে ট্রেন ঢুকে যাওয়ার তাড়ায় ওই ঠাসা ভিড়েই অপরিসর ফুট ব্রিজে শুরু হয় হুড়োহুড়ি। তাতে বেশ কয়েকজন পড়ে যান। তাঁদের ওপর দিয়েই ট্রেন ধরার তাড়া নিয়ে চলে যান জনতা। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ২ জনের। আহত হন ১২ জন। তাঁদের কয়েকজনের অবস্থা সংকটজনক। সকলকে হাওড়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে দুর্গাপুজো কার্নিভাল থেকে ঘটনাস্থলে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা ঘটনার জন্য রেল কর্তৃপক্ষকেই কাঠগড়ায় চাপিয়েছেন তিনি। রেলের সমন্বয়ের অভাব ছিল বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, রেল দেশের লাইফ লাইন। সেখানে রেলের যাত্রীদের সঠিক যত্ন নেওয়া উচিত। পরে তিনি হাসপাতালেও আহতদের দেখতে যান। পরে মৃতদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। আহতদের ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ১ লক্ষ টাকা।