রাত প্রায় ৮টা। শ্রীরামপুর স্টেশনের ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম। এখানেই দাঁড়িয়েছিল তারকেশ্বর লোকাল। পাশের ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্ম দিয়ে না দাঁড়িয়ে ছুটে বেরিয়ে যাওয়ার কথা ছিল হাওড়া-বর্ধমান গ্যালোপিং লোকালের। কিন্তু তা না করে আচমকাই তা চলে আসে ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা শ্রীরামপুর লোকালের পিছনে। ভাগ্যক্রমে শেষ মুহুর্তে শ্রীরামপুর লোকালটি দাঁড়িয়ে আছে দেখতে পান চালক। প্রাণপণে ব্রেক কষেন তিনি। এরপর যেটা হল তাকে সিনেমা বলাই ভাল। মাত্র ১ ফুট দূরত্বের ব্যবধান রেখে শেষ মুহুর্তে থমকে যায় বর্ধমান লোকালের চাকা। ভয়ংকর একটা দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পান দুই ট্রেনের যাত্রীরা। আতঙ্কে হুড়মুড়িয়ে দুই ট্রেন থেকেই নেমে পড়েন যাত্রীরা। শুরু হয় বিক্ষোভ। রেল আধিকারিকদের প্রাথমিক ধারণা বর্ধমান লোকালের চালক সিগনাল না দেখাতেই এই ঘটনা ঘটে।