সকালে শহরমুখো ট্রেনগুলোতে এমনিতেই বাদুড়ঝোলা ভিড় থাকে। হয় পড়াশোনার জন্য, নয়তো কর্মসূত্রে শহরে হাজির হন বহু মানুষ। ভরসা ট্রেন। সেই ট্রেন লাইন এদিন অবরোধের শিকার হল। সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ শুরু হয়। বেলঘরিয়া স্টেশনে সকালেই অবরোধ হয়। ধর্মঘটীরা ট্রেন লাইনের ওপর দলীয় পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে পড়েন। পরে পুলিশ এসে অবরোধ তুলতে গেলে তাদের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয় ধর্মঘটীদের। এর জেরে থমকে যায় ওই লাইনে ট্রেন চলাচল। বহু মানুষ ভিড় ট্রেনেই ঠায় অপেক্ষা করতে বাধ্য হন। চরম ভোগান্তির শিকার হন তাঁরা। একটা বড় সময় পরে অবশ্য বন্ধ সমর্থকদের সরিয়ে দেয় পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে সোদপুর স্টেশনেও অবরোধ হয়। অবরোধ করা হয় মধ্যমগ্রাম স্টেশনে। অবরোধ হয় রিষড়ায়। অবরোধ হয় যাদবপুর স্টেশনে। একের পর এক স্টেশনে বন্ধ সমর্থকেরা অবরোধ শুরু করেন। সেখান থেকে তাঁদের সরানো হলেও দেখা যাচ্ছিল অন্য কোনও স্টেশনে শুরু হয়ে যাচ্ছিল অবরোধ। কলকাতায় মানুষ আসেন শিয়ালদহ ও হাওড়া হয়ে। সেখানে শহরের এই স্টেশনমুখো ট্রেন যদি আগেই আটকে দেওয়া যায় তবে ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হবে। ফলে মানুষ সময়ে শহরে পৌঁছতেই পারবেননা। যা বন্ধকে সার্থক করতে কিছুটা সহায়ক হবে। এদিন দুর্গাপুর স্টেশনেও অবরোধ হয়। দুর্গাপুরে সড়কও অবরোধ করা হয়। সেখানে পুলিশের সঙ্গে বন্ধ সমর্থকদের ধস্তাধস্তি হয়। রেল অবরোধ হয় লক্ষ্মীকান্তপুরের কাছেও। বেশ কিছু জায়গায় স্টেশনে না করে ২টি স্টেশনের মাঝে অবরোধ করা হয়। লাইনে সিমেন্টের স্ল্যাব ফেলে অবরোধের চেষ্টা হয়।