রেল দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সকালে যেখানে ৬টি দেহ উদ্ধার হয়েছিল। সেখানে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও ১টি দেহ উদ্ধার হয়েছে। ২৭ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। অনেক যাত্রীকে কামরা কেটে বার করে আনতে হচ্ছে। রবিবার ভোররাতে বিহারের বৈশালী জেলার বুজুর্গ স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হয়ে উল্টে যায় সীমাঞ্চল এক্সপ্রেসের ১১টি কামরা।
দিল্লিমুখী সীমাঞ্চল এক্সপ্রেস ছুটে যাচ্ছিল। রাতের অন্ধকারে ট্রেনের গতি কম ছিলনা। রবিবার ভোররাত নাগাদ ট্রেনটি যখন বৈশালী জেলার বুজুর্গ রেল স্টেশনের কাছাকাছি তখনই এক প্রবল ঝাঁকুনি আর জোড়াল শব্দে চমকে ওঠেন যাত্রীরা। পরপর ১১টি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে উল্টে যায়। শুরু হয় যাত্রীদের চিৎকার।
রাতের ট্রেনে প্রায় সকলেই ঘুমে কাদা ছিলেন। বিহারের যোগবাণী থেকে দিল্লি রুটের সীমাঞ্চল এক্সপ্রেসেও যাত্রীদের অধিকাংশ দুর্ঘটনার সময় নিদ্রামগ্ন ছিলেন। শীতের রাতে চাপাচুপি দিয়ে গভীর ঘুম থেকে আঁতকে উঠে পড়েন তাঁরা। কেন এই দুর্ঘটনা তা এখনও রেল কর্তৃপক্ষের কাছে পরিস্কার নয়।
ঘটনার খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে হাজির হন রেলের আধিকারিকরা। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। চোখের সামনে ভোর হয়। হাজির হয় রিলিফ ট্রেন। স্থানীয় মানুষজনও ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে। কৌতূহলী মানুষের ভিড় জমে যায়।
কেন দুর্ঘটনা তা এখনও পরিস্কার নয়। কারণ খতিয়ে দেখছে রেল কর্তৃপক্ষ। তবে ১১টি কামরার কয়েকটি এমন অবস্থায় রয়েছে যে তার ভিতরে আটকে পড়া যাত্রীদের বার করা মুশকিল হয়। প্রথমে ৬ জনকে ও পরে আরও ১ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তবে কামরাগুলির যা পরিস্থিতি এবং সেখানে এমনভাবে আহত মানুষ রয়েছেন যে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন উদ্ধারকারীরা।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)