দুপুর থেকে একের পর এক জায়গায় রেল অবরোধের জেরে কার্যত চরম দুর্ভোগে কাটালেন শিয়ালদহ উত্তর শাখার বিভিন্ন লাইনের মানুষ। গত শনিবার নদিয়ার হাঁসখালির কাছে একটি সরস্বতী পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে ভিড়ের মধ্যে খুন হন স্থানীয় বিধায়ক তথা তৃণমূলের দাপুটে নেতা সত্যজিৎ বিশ্বাস। তাঁর মৃত্যুর পর থেকেই সেখানে রাজনৈতিক উত্তাপ চরমে। তৃণমূলের তরফে বিজেপিকে এই খুনের জন্য দায়ী করা হয়েছে। তৃণমূল নেতাদের মুখে উঠে এসেছে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুকুল রায়ের নামও। অন্যদিকে বিজেপি সব অভিযোগ অস্বীকার করে এই ঘটনাকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে দাবি করেছে। এদিকে সত্যজিৎ বিশ্বাস ছিলেন মতুয়াদের ঘরের লোক। ফলে মতুয়ারাও তাঁর মৃত্যুতে ফুঁসছে। এদিন বিভিন্ন স্টেশনে অবরোধে সামিল হন মতুয়ারা।
সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর থেকে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক একে একে তৃণমূল শীর্ষ নেতারা সত্যজিতের বাড়িতে উপস্থিত হন। কথা বলেন সকলের সঙ্গে। মতুয়া মহাসংঘের প্রতিনিধি হিসাবে স্থানীয় সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর সরাসরি বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছেন। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও তাই।
এদিকে এদিন দুপুর থেকেই একের পর এক দমদম, কাঁচরাপাড়া, বারাসত, বনগাঁ বিভিন্ন জায়গায় রেল অবরোধ করা হয়। দোষীদের শাস্তির দাবিতে এই অবরোধ চলে কোথাও আধ ঘণ্টা, কোথাও তার চেয়ে একটু বেশি, আবার কোথাও তার চেয়ে একটু কম। বিকেলের মুখে শিয়ালদহ উত্তর থেকে এসব লাইনে ট্রেনে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এই সময়ে একে একে কাজ সেরে বাড়ি ফেরা শুরু করেন কলকাতায় আসা মানুষজন। ফলে ট্রেনের চাহিদা তখন বাড়তে থাকে। এদিন ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ার পর শিয়ালদহ স্টেশনে ভিড় জমে যায়। কেউই বুঝে উঠতে পারছিলেন না কখন অবরোধ উঠবে।
সাড়ে ৫টার পর থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করে। শিয়ালদহ থেকে একে একে ট্রেন ছাড়তে থাকে। ফলে ক্রমে ভিড় কমতে থাকে। তবে একটা বড় সময় ট্রেন বন্ধ থাকায় যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হন।