দূরপাল্লার ট্রেন তখনও ছাড়েনি। যাত্রীরা সকলেই নিজের নিজের জায়গায় উঠতে ব্যস্ত। পরিবারের লোকজন এসেছেন তাঁদের ছাড়তে। এরমধ্যেই ৫ যাত্রী উঠে পড়ে ট্রেনে। সুন্দর পোশাক, কথাবার্তাও সুন্দর। সঙ্গে অল্প লাগেজ। ১ মহিলা ও ৪ জন পুরুষ। তারা অল্প সময়ের মধ্যে আলাপও জমিয়ে ফেলে আশপাশের যাত্রীদের সঙ্গে। সহযাত্রী হিসাবে অনেকটা পথ একসঙ্গে সফর। ফলে আশপাশের অপরিচিত যাত্রী খুব দ্রুতই পরিচিত হয়ে ওঠেন ট্রেনে। এরমধ্যেই ট্রেন ছাড়ার উপক্রম হয়।
অধিকাংশ যাত্রী তখন ব্যস্ত হয়ে পড়েন আস্তে আস্তে গতি নেওয়া ট্রেন থেকে ছাড়তে আসা পরিজনদের হাত নাড়তে। বিদায় জানাতে। আর এই সুযোগেই তাঁদের মূল্যবান জিনিস হাতিয়ে নেয় ওই ৫ জন। তাও আবার অতি দক্ষতায় এবং দ্রুত। তারপরই তারা এমন দেখাতে শুরু করে যেন এক ট্রেনে উঠতে গিয়ে অন্য ট্রেনে উঠে পড়েছে। ফলে চলন্ত ট্রেন থেকেই দ্রুত নেমে পড়ে ৫ জন। যাত্রীরা যখন বুঝতে পারেন তাঁদের অনেককিছুই খোয়া গেছে, ততক্ষণে পগার পার ৫ ঠগ।
একদম যেন সিনেমা। টানটান চিত্রনাট্য। কিন্তু এই ঘটনা নেহাতই বাস্তবের। ১ দিন ২ দিন নয়, টানা ১ বছর ধরে এই কাণ্ড চলছে দিল্লির নিউ দিল্লি, হজরত নিজামুদ্দিন, সারাই রোহিলা ও আনন্দবিহার রেল স্টেশনে। মাঝেমধ্যেই এমন অভিযোগ করে আসছেন যাত্রীরা। কিন্তু এই ৫ ঠগের নাগাল পাচ্ছিল না পুলিশ।
পুলিশ কিন্তু তক্কে তক্কে ছিল। আর সেই সুযোগ তাদের হাতে আসে গত বুধবার। উত্তর দিল্লির মানডোলি এক্সটেনশনের কাছে ওই ৫ ঠগকে বামাল গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ১টি রিভলভার, ২৫টি চুরি করা ব্যাগ ও নগদ ৯০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়। তদন্ত শুরু হয়েছে।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)