রবিবার সকাল, তখন প্রায় ১০টা। বিহারের ওপর দিয়ে ছুটে যাচ্ছিল ছাপরা ও সুরাটের মধ্যে যাতায়াত করা তাপ্তি গঙ্গা এক্সপ্রেস। আচমকাই প্রবল কম্পন। যাত্রীদের মধ্যে মুহুর্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কিছু একটা বড় দুর্ঘটনা তা টের পান তাঁরা। সে সময়ে ট্রেনটি বিহারের ছাপরা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে ছিল। সারন জেলার গৌতম স্থান রেলস্টেশনের কাছে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। ১৩টি কামরা লাইন থেকে বেরিয়ে যায়। আশপাশ থেকে মানুষজন ছুটে আসেন। ছুটে আসেন রেল আধিকারিকরা। শুরু হয় উদ্ধারকাজ।
এই দুর্ঘটনায় কোনও প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও ৪ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্য যাত্রীদেরও উদ্ধার করা হয়। যেভাবে ১৩টি বগি লাইন থেকে নেমে গেছে তাতে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলেই মনে করছেন যাত্রীরা। অনেক যাত্রীকেই ট্রেন থেকে বেরিয়ে লাইনের ধারের ঘাস জমিতে বসে থাকতে দেখা যায়। তখনও তাঁদের মুখে চোখে আতঙ্কের ছাপ।
কেন এমন ঘটল তা তদন্ত সাপেক্ষ। ফলে এখনই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এই দুর্ঘটনার কারণ সম্বন্ধে কিছু পরিস্কার করতে পারেননি। তবে রেল দুর্ঘটনা কিন্তু মাঝেমধ্যেই দেখা যাচ্ছে। গত মাসেই দিল্লিমুখী সীমাঞ্চল এক্সপ্রেসের ১১টি বগি লাইন-চ্যুত হয়। মৃত্যু হয় ৬ জন যাত্রীর।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)