ওড়িশার সঙ্গে কার্যত বিচ্ছিন্ন গোটা ভারতের রেল যোগাযোগ। শুধু কলকাতা বলেই নয়, দেশের যে কোনও প্রান্তের সঙ্গে রেল যোগাযোগ অনেকটাই বিচ্ছিন্ন। ওড়িশার ভদ্রক-বিজয়নগরম সেকশনেই আরও ২২৩টি ট্রেন বাতিল করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। আগামী ৪ মে পর্যন্ত এই ট্রেনগুলি বাতিল করা হয়েছে।
এছাড়া কলকাতা থেকে চেন্নাই রুটের প্রায় সব ট্রেনই বাতিল হয়েছে। কারণ এই রুটটা পুরোটাই উপকূল ধরে এগোয়। তাই কোনও ঝুঁকি নেয়নি রেল কর্তৃপক্ষ। যাত্রীদের এই বাতিলের কথা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। এখন এসএমএস-এর সুবিধা তৈরি হয়েছে। রেল এখন এসএমএস করে তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয় যাত্রীদের। ফলে স্টেশনে আসার পর ট্রেন বাতিলের কথা শুনে মাথায় হাত পড়ার দিন এখন আর প্রায় নেই বললেই চলে।
মোট ১৪০টি মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ভদ্রক-বিজয়নগরম সেকশনে ৮৩টি লোকাল ট্রেনও বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া রেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, ৯টি ট্রেনকে অন্য রুট দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ৪টি ট্রেনের পুরো যাত্রাপথ কেটে ছোট করে দেওয়া হয়েছে। ফলে রেল পরিষেবা কার্যত ঝড়ের দাপটে এখানে মুখ থুবড়ে পড়েছে। তবে ঝড়ে যা প্রলয়কাণ্ড চলছে তাতে ওই পরিস্থিতিতে ট্রেন চলাচল চালু রাখলেও তা চালানো অসম্ভব হত। মুশকিলে পড়তেন যাত্রীরা।
শুক্রবার সকালেই ওড়িশায় আছড়ে পড়ে ফণী। তারপর থেকেই সে প্রলয় কাণ্ড শুরু করেছে। অজস্র গাছ ভেঙে পড়েছে, ইলেকট্রিক পোল উপড়ে গেছে, ওড়িশার ১১টি জেলায় বিদ্যুৎ নেই। খড় কুটোর মত রাস্তায় উড়েছে ভারী জিনিসপত্র। ঘরে দরজা জানলা বন্ধ করে বসেও ঝড়ের আওয়াজে আতঙ্ক বুক কাঁপতে থাকে অনেকের।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)