ভাটপাড়া বিধানসভার উপনির্বাচন ঘিরে গত রবিবার দুপুর থেকে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ভাটপাড়ার কাঁকিনাড়া। মুড়ি মুড়কির মত বোমা পড়ে। গুলি চলে। যাতে এক ব়্যাফ কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও গুলিতে আহত হওয়ার খবর মিলেছে। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। তৃণমূলের পার্টি অফিসে আগুন জ্বলেছে। বিজেপির ক্যাম্প অফিস ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে এলাকা নিজেদের দখলে নেয়। গোটা এলাকা কার্ফুর চেহারা নেয়। আতঙ্কে ঘরবন্দি তো বটেই, সাধারণ মানুষ ঘরের জানালা, দরজা খোলার সাহস পাননি। এখানেই শেষ হয়নি অশান্তি। সন্ধের পরও এলাকায় বোমাবাজি হয়। অশান্তি ছড়ায়। যা রাত পর্যন্ত বহাল ছিল।
রবিবারের পর সোমবারও সেই অশান্তির জের চলল। সোমবার ছিল সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস। আর কাজের দিনে শিয়ালদহ মেন লাইন সকালে কী পরিমাণ ব্যস্ত থাকে তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। সেখানে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কাঁকিনাড়া স্টেশন অবরোধ করেন বিজেপি সমর্থকেরা। অবরোধের জেরে প্রবল সমস্যায় পড়েন অফিসমুখী মানুষজন। কাঁকিনাড়া স্টেশনে অবরোধের জেরে সেখানে তো যাত্রীদের ভিড় জমেই যায়। সেইসঙ্গে তার আশপাশের রেল স্টেশনেও ট্রেন না আসায় সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা। অনেকেই ট্রেনের আশা ছেড়ে সড়কপথে গন্তব্যে পৌঁছনোর চেষ্টা করেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা এই অবরোধ চলে। পরে অবরোধ যখন ওঠে তখন অফিস টাইম প্রায় পার হয়ে গেছে।
বিজেপি সমর্থকেরা ট্রেন অবরোধের পাশাপাশি এদিন বেলা গড়াতে জগদ্দল থানাও ঘেরাও করেন। থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এদিনও কয়েক জায়গায় বোমা পড়েছে। ফলে অশান্তি অব্যাহত। রবিবারের মত সম্মুখসমর না হলেও এদিনও চাপা উত্তেজনা রয়েছে এলাকা জুড়ে।