স্টেশন হোক বা অন্য কোথাও। সাধারণত কোনও মহিলাকে কেউ প্রথমেই সন্দেহ করেনা। বরং তুলনায় অচেনা পুরুষ হলে সন্দেহ অনেক বেশি হয়। আর সেই সুযোগটাই কাজে লাগাত ৫ জনের একটি মহিলা গ্যাং। যাদের একজন আবার কোলে দুধের শিশু নিয়ে ঘুরত। যাতে তার দিকে কোনওভাবেই সন্দেহ না যায়। তারপর স্টেশনের চলমান সিঁড়িতে বা হেঁটে যাওয়ার সময় যাত্রীকে ক্রমশ ঘিরতে থাকত তারা। শিশু কোলে মেয়েটি থাকত সামনে। তারপর ওই যাত্রীর কাছ থেকে মালপত্র লুঠ করে নিয়ে চম্পট দিত তারা।
গত বুধবার দিল্লির হজরত নিজামুদ্দিন রেলওয়ে স্টেশনে এক মহিলা যাত্রী জিআরপি-তে একটি ই-এফআইআর দায়ের করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন তাঁর সঙ্গে থাকা লাগেজে ৫ লক্ষ টাকার সোনার গয়না ছিল। যা লুঠ হয়েছে স্টেশন চত্বর থেকেই। জিআরপি এই অভিযোগ পাওয়ার পরই আরপিএফ-এর একটি দলকে সঙ্গে করে একটি যৌথ তদন্তকারী দল তৈরি করে। শুরু হয় তদন্ত।
তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এবং পুরনো রেকর্ড খতিয়ে দেখে শনিবারই গ্যাংটিকে চিহ্নিত করে ফেলে জিআরপি ও আরপিএফ-এর যৌথ দল। ওই মহিলা গ্যাংয়ের ৩ জনকে গ্রেফতারও করে তারা। তবে ২ জনকে এখনও ধরে উঠতে পারেনি। এই ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা একাজ কবে থেকে চালাচ্ছে তার খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ। শুধু এক হজরত নিজামুদ্দিন স্টেশনেই চলতি বছরে এই নিয়ে ৯টি চুরির ঘটনার কিনারা করল রেল পুলিশ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা