ফের রেল দুর্ঘটনা। বুধবার কানপুরের রুরা স্টেশনে লাইনচ্যুত হয় আজমের-শিয়ালদহ এক্সপ্রেস। ইঞ্জিনের পর ৫ নম্বর বগি পর্যন্ত অক্ষত থাকলেও তারপর থেকে ১৫টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে দুমড়ে মুচড়ে যায়। একটি বগি ব্রিজের ওপর থেক মুখ থুবড়ে পড়ে একটি শুকনো নদীতে। অন্যান্য বগির কোনওটা ইলেকট্রিক পোস্টে ধাক্কা মেরে উল্টে যায়। কোনওটার চাকা খুলে বেরিয়ে যায়। ট্রেনটিতে ১ হাজার ৩০০ জন যাত্রী ছিলেন। যারমধ্যে ৫৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি ৮ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। রেলের প্রাথমিক ধারণা ঘন কুয়াশার কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। এখন দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানার বিস্তীর্ণ অঞ্চল ঘন কুয়াশায় ঢাকা। একটু দূরের জিনিসও ঠিকঠাক চোখে পড়ছে না। ফলে ট্রেন চলাচলও দীর্ঘ দিন ধরেই ব্যাহত হচ্ছে। এদিন কানপুর থেকে যাত্রা করার পরই ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ট্রেনটি। ভোরের ওই সময়ে কুয়াশার চাদর রীতিমত পুরু অবস্থায় থাকে। ফলে ট্রেনটি চললেও তার গতি ছিল খুবই কম। যা কার্যত এদিন সাপে বর হয়েছে। কারণ ট্রেন গতিতে থাকলে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। যা বহু মানুষের জীবন কেড়ে নিতে পারত। এদিন দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে দ্রুত হাজির হন রেল আধিকারিকরা। মেডিক্যাল ভ্যান সমেত হাজির হন চিকিৎসকরা। শুরু হয় উদ্ধার কাজ। এদিকে ঘটনার পর ট্যুইট করে রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু জানান, তিনি পুরো অবস্থার দিকে নজর রাখছেন। দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এছাড়া আহত যাত্রীদের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য রেল মন্ত্রক দেবে বলে আশ্বস্ত করেছেন মন্ত্রী। এদিনের দুর্ঘটনার জেরে বগিগুলির যা পরিস্থিতি হয়েছে তাতে ২৪ ঘণ্টার আগে লাইন সাফ করে ওঠা সম্ভব হবে না বলেই মনে করছে রেল মন্ত্রক। তাই কলকাতা-দিল্লি রুটের সব ট্রেন ঘুরপথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।